স্কুলে পরীক্ষা ছিল। তাই সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে মুখে মুখে পড়া একবার ঝালিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হল না সৌরনীল সরকারের। ফেরা হল না বাড়িও। বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীলের মৃত্যেতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠছে গোটা এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান দফায় দফায়। রণক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে গোট এলাকা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটায় আহত সৌরনীলের বাবা। সেখানে বসে বড়িশা হাইস্কুলের খুদে পড়ুয়ারা মা কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের অস্ফুট স্বরে বলেন, 'সকালেই আমার সঙ্গে কত কথা বলে বেরিয়ে ছিল। আর ফিরবে না।' তার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
(পড়তে পারেন। বেহালার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু স্কুলপড়ুয়ার, কোনা এক্সপ্রেসে আটক ঘাতক লরিচালক)
সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় একটি লরি এসে সৌরনীলকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর আহত বাবাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তেজিত স্থানীয় জনতা সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের ভ্যানে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ওই লরি চালককে আটক করে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশ। তাঁকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বড়িশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি এই দুর্ঘটনার জন্য আঙুল তোলেন পুলিশের দিকে। প্রধান শিক্ষক বলেন,'পুলিশ সচেতন থাকলে আমরা ছেলেটাকে হারাতাম না।'
বেলা ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, 'যা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই এলাকায় পুলিশ ছিল না বা থাকে না এমন নয়। এই রাস্তায় বর্তমানে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পুলিশ আধিকারিকরা সচেতন থাকেন বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনা কেন ঘটল তার তদন্ত হবে।'