মেট্রোর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। তবে আরপিএফ এবং মেট্রো কর্মীদের সেবা-শুশ্রূষায় অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠলেন ওই কলেজছাত্রী। আরপিএফের মানবিক মুখ দেখে খুশি তরুণীর পরিবার। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে এসপ্ল্যানেড স্টেশনের কাছে। অসুস্থ তরুণীকে জল খাইয়ে এবং খাবার খাইয়ে সুস্থ করে তোলেন আরপিএফ এবং মেট্রোর কর্মীরা।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম উৎসা বসু। তিনি দমদমের কাছে একটি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্রী। বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে কলেজ থেকে ফেরার সময়। মেট্রো করে বাড়ি ফেরার সময় মেট্রোর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কলেজছাত্রী। বিষয়টি নজরে আসে মেট্রোয় কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের। তারা মেট্রো থেকে তরুণীকে নামিয়ে স্টেশনে নিয়ে আসেন। এরপর অন্যান্য আরপিএফ এবং মেট্রোর কর্মীরা দৌড়ে এসে ওই ছাত্রীকে ফ্যানের নিচে বসিয়ে দেন। তাকে জল দেওয়ার পাশাপাশি খাবার দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন আরপিএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি বুঝে কলেজছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে প্রস্তুত হয় আরপিএফ। কিন্তু, ততক্ষণে ওই কলেজছাত্রী অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে। ফলে আরপিএফ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও ওই কলেজছাত্রী হাসপাতালে যেতে চাননি। এরইমধ্যে কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানায় আরপিএফ।
খবর পাওয়ার পরেই আতঙ্ক নিয়ে মেট্রো স্টেশনে ছুটে আসেন ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা তরুণ বসু। তিনি স্টেশনে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে সুস্থ অবস্থায় রয়েছে এবং আরপিএফ ও মেট্রোর অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে গল্প করছেন। তা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তরুণীর বাবা। উৎসা জানান, সকাল থেকেই তিনি না খেয়ে ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো কোনওভাবে মাথা ঘুরে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। তবে ওই তরুণীকে সুস্থ করে তোলার জন্য আরপিএফ এবং মেট্রোর কর্মীরা যেভাবে তৎপরতা দেখিয়েছেন তাতে খুশি তরুণীর বাবা। তিনি জানান, ‘আগে আরপিএফের সম্পর্কে অনেক ভালো কথা শুনেছি। আর এবার তাদের মানবিক রূপ দেখলাম নিজের চোখে। তারা যেভাবে আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলেছেন তার জন্য তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’