প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক স্মৃতি নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯।
পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তারপর আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। তাঁকে এই প্রথম হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।
১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে যোগ দিয়েছিলেন সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে। তিন বছর পর পদার্থবিজ্ঞানের পি.এইচডি সম্পূর্ণ করেছিলেন। তারপর বাযোলজি ও বাযোফিজিক্সের দিকে গিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে যোগদান করেছিলেন। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বায়োফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রধান ছিলেন। সেই বছরই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিকেল বায়োলজিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তী চার বছর বায়োফিজিক্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। তারপর বায়োফিজিক্স বিভাগের প্রধান হিসেবে ফিরে গিয়েছিলেন সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে। অবসরের আগে পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। অধিকর্তাও হয়েছিলেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি গবেষণাও চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী।। প্রায় ২০০ টির মতো গবেষণাপত্র লিখেছিলেন। পেয়েছিলেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান। ১৯৬২ সালে রকেটফেলার ফাউন্ডেশন পুরস্কার , ১৯৬৬ সালে শকুন্তলা আমিরচাঁদ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে বাসন্তীদেবী আমিরচাঁদ পুরস্কার, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেেমির শম্ভুনাথ দে মেমোরিয়াল পুরস্কার (১৯৯৬)-সহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির ফেলো ছিলেন। গত বছর ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন ট্যাক্সনমি অফ ভাইরাসের একটি সাব-কমিটি ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাসের নয়া বর্গ তৈরি করেছিল। নাম দিয়েছিল ‘চ্যাটার্জিভাইরাস’।