আবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। আজ রবিবার, সকালে এক যুবককে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং টপকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। নিত্যযাত্রীরা তা দেখতে পেয়ে লালবাজারে খবর দেন। সেখান থেকে খবর পৌঁছয় হেস্টিংস থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিস, ট্রাফিক গার্ড এবং দমকল বাহিনী। এই যুবককে বাঁচাতে ছুটে আসেন পুলিশ অফিসার থেকে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আজ রবিবার সকালে ওই যুবককে রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পথচলতি মানুষজন। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন পরিস্থিতি বেগতিক। যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে। তাঁরা জানান যে, যুবক আত্মহত্যা করবেন বলে বোঝা যাচ্ছিল। তখন দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। সকলে এসে কথাবার্তা বলে যুবককে ঝাঁপ দেওয়া থেকে আটকে রাখেন। কিন্তু যুবক আত্মহত্যা করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তবে এটা থেকে আটকে দিতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
কেমন করে ধরে ফেলল পুলিশ? প্রথমে দূর থেকে ওই যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তারপরে মনোযোগ ঘুরিয়ে যুবককে ধরে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। দড়ির সাহায্যে বেঁধে তাকে রেলিংয়ের এপারে নিয়ে আসা হয়। ওই যুবককে সেখান থেকে আপাতত নিয়ে যাওয়া হয়েছে হেস্টিংস থানায়। কেন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন? তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হেস্টিংস থানা। তবে বারবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং টপকে ঝাঁপ দেওয়ার প্রবণতার জেরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা সেটাও জানাননি তিনি। তবে ওই যুবক আত্মহত্যা করতে না পেরে এখন শুধু কেঁদেই যাচ্ছেন। গত ১১ মার্চ বিদ্যাসাগর সেতু থেকে ঝাঁপ দেন এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় পুলিশকে। ওই ঘটনাটি দ্রুত নজরে আসায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক যুবক। পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হুগলি নদীকে ব্যবহার করার জন্য নতুন পরিকল্পনা করছে পুলিশ।