গার্ডেনরিচে বহুতল বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর জন্য রাজ্যের প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে বিরোধীরা। এমন অবস্থায় বেআইনি নির্মাণ রুখতে কী পদক্ষেপ করা উচিত তা নিয়ে পরামর্শ দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো বার্তায় এই বেআইনি নির্মাণে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তিদানের পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘সব শেষ হয়ে গেল’, গার্ডেনরিচ থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরা হল না ছেলের, দেহ নিয়ে কাঁদছেন বাবা
প্রাক্তন মেয়রের পরামর্শ, এই ধরনের বেআইনি বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে অসাধু এবং দুষ্কৃতীচক্র রয়েছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শোভন বলেন, ‘শুধু গার্ডেনরিচই নয়, কলকাতায় অনেক জায়গাতেই এরকমভাবে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটি অসাধুচক্র এবং দুষ্কৃতীচক্র জড়িত রয়েছে, যারা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি নির্মাণ করে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে এমন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে অন্যান্যরা এই কাজ করতে গেলে ৫ বার থেকে ৫০০ বার ভাবে যে গিলোটিন তাদের উপরও চলতে পারে।’
যদিও কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সেবিষয়ে কারও নাম করেননি প্রাক্তন মেয়র। তবে তিনি বলেন, ‘যারা দুষ্কৃতী তাদের কোনও দল হয় বা চক্র হয় না। তারা শুধু এরকম দুষ্কৃতীমূলক কাজের জন্য ফন্দি খুঁজে বেড়ায়। তাদেরকে সেরকমভাবেই প্রতিহত করতে হবে।’ পুরসভাকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে শোভন বলেন, এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ রুখতে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন এসই রয়েছেন। কিন্তু, তাদেরকে বহু এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয় না। সেক্ষেত্রে পুরসভাকে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রাক্তন মেয়র।
অন্যদিকে, শোভন চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, একে অপরকে দায়ী না করে দলমত নির্বিশেষে সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচের ঘটনার পরেই নিজের অসুস্থতা সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এই ঘটনা নিয়ে তিনি যে কতটা উদ্বিগ্ন প্রাক্তন মেয়র সে কথাও তুলে ধরেন এই ভিডিয়ো বার্তায়।
তিনি বলেন, জখম অবস্থার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। পদক্ষেপ করতে বলেছেন। তিনি সাহসিকতা দেখাতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত, মুসলিম অধ্যুষিত গার্ডেনরিচে রমজান মাসে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রাক্তন মেয়র। এই ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন।