আজ, বুধবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। দুর্গাপুজোর আগে এই বিশেষ অধিবেশন এবার হওয়ার কথা ছিল। সেটাই আজ হতে চলেছে। তবে আজ থেকে বদলে যাচ্ছে মন্ত্রীদের ঘরের সমীকরণও। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন। ফলে ঘর দুটি বন্ধই ছিল। এবার গোটা বিষয়টিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা হল।
কী হতে চলেছে বিধানসভায়? আজ, বুধবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই অধিবেশনে রাজ্যের একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রী যোগ দেবেন। নতুন মন্ত্রীরাও যোগ দেবেন এখানে। এখানেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘরটি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। আগে তাঁর ঘরটি ছিল বিধানসভার দোতলায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছাকাছি চলে এলেন তিনি। একুশের নির্বাচনে ব্রাত্য বসুর একটা বড় ভূমিকা দেখেছিল বাংলার মানুষ। তাই তিনি কাছাকাছি এলেন আরও বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ব্রাত্য বসুর খালি হওয়া ঘরটি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের নতুন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। একতলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাশের ঘরটি বরাদ্দ ছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের জন্য। সেখানে নিয়ে আসা হযেছে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। তাঁর দোতলার ঘরটি দেওয়া হচ্ছে বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। এভাবেই ঘরের সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে রাজ্য বিধানসভায়।
কিন্তু পার্থর ঘরটি কী হবে? বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখন জেলে। বিধানসভায় তাঁকে যে ঘরটি বরাদ্দ করা হয়েছিল সেটি আপাতত বন্ধই রাখা হচ্ছে। আর প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ঘরটি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজাকে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁর আগের ঘরটি এককভাবে পেয়েছেন নতুন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এমনকী রত্না দে নাগের ঘরটি পেয়েছেন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নয়া মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের সচিবের ঘরটি পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। মন্ত্রিত্ব হারানো মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর ঘরটি পেয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ। আর নতুন ঘর দেওয়া হয়েছে কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে। আর একটি নতুন ঘর দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে।