এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৃহীত হল চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি। রাত ১২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) অফিস ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যা নির্দেশ দেন, ওই সময়ের পর থেকে কমিশনের অফিসে কোনও আধিকারিক বা কর্মীকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
বুধবার রাতে নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি 'দুর্নীতিতে' নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: প্রায় ৪ ঘণ্টা পর CBI দফতর থেকে বেরোলেন পার্থ, খরচ করলেন না একটা শব্দও
সেই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক। পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। বিকাশরঞ্জন সওয়াল করেন, অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ার পর কারা কারা কমিশনের অফিসে প্রবেশ করেছেন, তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খতিয়ে দেখা হোক।
সেই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আজ (ইংরেজি মতে বৃহস্পতিবার) রাত ১২ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফকে কমিশনের অফিস ঘিরে ফেলার নির্দেশ দেন। সেইসময় সিবিআই আধিকারিকরা ছাড়া কমিশনের অফিসে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা পর্যন্ত আচার্য সদনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে রাখার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার মধ্যে কমিশনের সচিবকে হাইকোর্টে সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফোন
সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই সিআরপিএফের অফিসে ফোন করা হয়। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কথা বলেন।
এসএসসি মামলায় সিবিআই
বুধবার সকালে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কমিশনের মাধ্যমে স্কুলে গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ-সহ সাতটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ বহাল রাখা হয়। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এখনও পর্যন্ত কমিশনের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।