নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াল আদালত। সোমবার আলিপুর আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলায় ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের ষড়যন্ত্রের অংশীদার বলে উল্লেখ করেন বিচারক। সঙ্গে তিনি জানতে চান, ‘এদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে সিবিআই?’
এদিন বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, তদন্তে নতুন কী উঠে এল? জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে এমন আরও অনেকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে'। কতজনের নম্বর বদল করা হয়েছে তা আদালতকে জানায় সিবিআই।
রোজ গোলাপ ও একটি করে ছবি পাঠানো হবে শুভেন্দুকে, আজ থেকে কর্মসূচি শুরু তৃণমূলের
এর পর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘এদের মধ্যে কতজনকে জেরা করা গিয়েছে? জবাবে সিবিআই আধিকারিক বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত চার জনকে জেরা করা হয়েছে। এর পর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘ষড়যন্ত্রে তো এরাও সামিল। তাহলে এদের গ্রেফতারির জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে'? এই প্রশ্নের তেমন কোনও জবাব ছিল না সিবিআই আধিকারিকের হাতে। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে’।
আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, যাদের নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা কড়া আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারেন। ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সময়সীমা। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের ৭ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে। কেউ পদত্যাগ করেছেন বলে তাদের জানা নেই। যদিও কয়েকটি জেলা থেকে কয়েকজনের পদত্যাগের খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে তারা আদালতকে এখনো সেকথা জানিয়েছেন কি না তাও স্পষ্ট নয়।