নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁর কোনও আত্মীয়কে। বাবার গ্রেফতারি নিয়ে দীর্ঘ দেড় বছরেও মেয়ে সোহিনীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে পার্থর বিপদ আরও বাড়িয়ে দিলেন জামাই কল্যাণ ভট্টাচার্য। জানালেন, তাঁর নামে যা সম্পত্তি রয়েছে, তার মালিক আসলে শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রভাব খাটিয়ে ওই বেনামি সম্পত্তি করেছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কলকাতায় ফিরে আয়কর দফতরের কাছে বয়ান রেকর্ড করতে গিয়েছিলেন কল্যাণবাবু। এর পর আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণবাবু জানিয়েছেন, তাঁর নামে যে সম্পত্তি রয়েছে তার মালিক আসলে শ্বশুরমশাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজের প্রভাব খাটিয়ে বেনামে সম্পত্তি করেছে পার্থ। এই সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামাইবাবু কল্যাণ ধরের বয়ানও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে আয়কর বিভাগ। তাঁর নামেও বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে পত্মীবিয়োগ হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তখন তিনি শিক্ষামন্ত্রী। পার্থর মেয়ে সোহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। ২০২২ সালের জুলাইয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয় পার্থ। তদন্তে উঠে আসে, বারুইপুরে মেয়ের নামে একটি বাগানবাড়ি কিনেছিলেন পার্থ। সেখানে আবার মাঝে মাঝে বেড়াতে যেতেন অর্পিতাকে নিয়ে। পার্থর গ্রেফতারির পর থেকে আজ পর্যন্ত তার পরিবারের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি মেয়ে সোহিনী। তারই মধ্যে জামাইয়ের এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পার্থর পাশে নেই তার পরিবার?