অস্ট্রিও আর্থারাইটিস হল একটি সাধারণ অর্থপেডিক সমস্যা, যার শিকার বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এটি শরীরের যে কোনও জয়েন্টে হতে পারে। এটি হাঁটু, নিতম্ব এবং কাঁধের জয়েন্টে হতে পারে। এটি এমন একটি অবক্ষয় জনিত অবস্থা যা জয়েন্ট গুলির চারিপাশে থাকা তরুনাস্থি টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ঘটে।
হিপ অস্ট্রিও আর্থারাইটিস কী?
হিপ অস্ট্রিও আর্থারাইটিস হল এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যা ব্যক্তির হাঁটুর ক্ষমতা এবং কোমরের দৃঢ়তাকে প্রভাবিত করে। এটি বার্ধক্যের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। বয়স্ক জনিত কারণে, অতিরিক্ত স্থূলতার কারণে বা কোনও আঘাতের কারণে এটি ঘটে। সকালে অথবা বিকেলে বিশ্রামের পর অথবা অতিরিক্ত খাটা খাটনির পর এই সমস্যা বাড়তে পারে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় ১৬৫ জন রোগীকে নিরীক্ষণ করে জানা গেছে, যাদের মধ্যে হিপ অস্ট্রিও আর্থারাইটিসের সমস্যা রয়েছে, তাদের গড় বয়স ৫৯ বছর। এনাদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রোগী মহিলা, বাকি পুরুষ। এনাদের মধ্যে ৬৮ জনের অবস্থা গুরুতর, ৩২ জনের নিতম্বের দিকে সমস্যা রয়েছে এবং ৬৫ জনের মধ্যে কোমরে হালকা সমস্যা দেখা গেছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, যাদের মধ্যে গুরুতর সমস্যা রয়েছে তাদের গড় বয়স ৬৬ বছর, হালকা সমস্যা যাদের মধ্যে দেখা গেছে তাদের গড় বয়স ৬০ বছর। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স যত বৃদ্ধি পাবে তার সঙ্গে সঙ্গে সএই সমস্যা বাড়তে থাকবে। তাই সময় থাকতে এক্সারসাইজ এবং হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়।
স্টেম সেল থেরাপি:
হিপ অস্ট্রিও আর্থারাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় অস্ত্র-প্রচার ছাড়াই শরীরকে সুস্থ করে তোলা যায়। এমন একটি পদ্ধতি হল স্টেম সেল থেরাপি। এটি হলো এমন একটি জৈবিক উপাদান যা ক্ষতিগ্রস্ত টিসুগুলোকে পুনরায় তৈরি করতে সক্ষম হয়। স্টেম সেলের মাধ্যমে একজন রোগী ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়।
হিপ অস্ট্রিও আর্থারাইটিসের চিকিৎসা চলাকালীন অথবা তার পরবর্তী সময়ে রোগীকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি না করা অথবা সিঁড়ি ওঠানামা না করা উচিত এই সময়। ফিজিওথেরাপি অথবা কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় রক্ত প্রবাহ চলাচল বৃদ্ধি করানো যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করা যায়।