গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার আন্দোলন। আবার মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচেও চলছে আন্দোলন। দিনের পর দিন রাস্তার কর্মপ্রার্থীরা। তাদের একটাই দাবি, তাঁদের চাকরি চুরি গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, এসএসসি থেকে তাদের নিয়োগের সুপারিশপত্র নেওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি গ্রুপ সি ও শিক্ষাকর্মী পদে সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য ১০০জনকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সেখানে গিয়েছিলেন মাত্র ৫৫জন। এখানেই প্রশ্ন লাগাতার আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন তারা। কিন্তু কমিশন থেকে ডাকলে আর যাচ্ছেন না। ব্যাপারটা কী?
এসএসসি সূত্রে খবর, চারবার ডেকেও সমস্ত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র নেওয়ার জন্য় উপস্থিত করানো যাচ্ছে না। গ্রুপ ডির জন্য ৪০জনকে ডাকা হয়েছিল। ২১জন এসেছিলেন। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে ডাকা হয়েছিল ৬৮জনকে। তাদের মধ্য়ে এসেছিলেন ৫১জন। ফের তাদের মধ্য়ে ১৭জনকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এসেছিলেন ১২জন।
সূত্রের খবর, আসলে চাকরির মুখেও নানা জট তৈরি হচ্ছে। তার জেরে একেবারে নাজেহাল অবস্থা তাদের। সেকারণে অনেকের মধ্যেই অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। সেকারণে তাঁদের একাংশ আর চাকরির নিয়োগপত্র নিতে চাইছেন না। মূলত ঘুরপথে যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাদের চাকরি যাওয়ার জেরে যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল সেখানেই আবার নিয়োগ করার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানেও নিয়োগপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনীহা দেখা দিয়েছে।
আসলে মনে করা হচ্ছে যাদের চাকরি গিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই ফের আদালতে চলে গিয়েছেন। তার জেরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি দুটি ক্ষেত্রেই নিয়োগ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই আর ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না অনেকেই। এমনকী সুপারিশপত্র নেওয়ার জন্য বার বার ডেকেও তারা আসছেন না।
অনেকের মতে, একের পর এক নিয়োগ স্থগিত, চাকরি চুরির নিত্য নতুন খবর, কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ তা নিয়ে একেবারে গোলকধাঁধায় পড়ে গিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার ছোটখাটো অন্য় কাজে লেগে পড়েছেন। কারণ বয়স বাড়ছে। এদিকে সুপারিশপত্র পেলেই যে চাকরি পাকা হয়ে গেল এমনটা নয়। এরপর মধ্য়শিক্ষা পর্ষদ থেকে নিয়োগপত্র দেবে। কিন্তু সেটা কবে মিলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গিয়েছে। সেকারণে গোটা প্রক্রিয়ার উপর আস্থাই রাখতে পারছেন না অনেকে।