রাতেও জ্বলছে ট্যাংরার কারখানা। সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে আগুন। ২০ থেকে ২৫ কাঠা জুড়ে জ্বলছে আগুন। তবে ভয়াবহতা কিছুটা কম। কিন্তু একদিকে আগুন নেভানো হলে ফের অন্য়দিকে আগুন জ্বলে উঠছে। এদিকে গুদামের বড় পাঁচিল আগুনের তাপে ভেঙে পড়ার সম্ভানা দেখা দিয়েছে। গুদামের পাঁচিলে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
দমকলের অন্তত ১৫টি ইঞ্জিন একেবারে মাটি কামড়ে লড়াই করে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর আগের তুলনায় অতটা ভয়াবহ না হলেও এখনও ধিক ধিক করে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়া বেরচ্ছে কারখানার পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে। আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক দমকল কর্মী। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে তদারকি শুরু করেন। রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বেআইনীভাবেই দাহ্য পদার্থ এলাকায় মজুত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও গিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে তিন নম্বর মেহের আলি লেনের ওই চামড়ার কারখানার চাল একসময় ভেঙে পড়ে। বহু দূর থেকেও আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। আশপাশের বাড়ি ও বহুতলগুলিকেও খালি করে দেওয়া হয়। চারপাশে থাকা বাড়িগুলির দেওয়াল জল দিয়ে ভেজানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়িগুলিতে তালাচাবি দিয়ে যে যেদিকে পারছেন পালাচ্ছেন।কাউন্সিলর জীবন সাহা বলেন, প্রথম থেকেই মানুষকে সরানো হচ্ছে। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনের ভয়াবহতা নেই। স্থানীয়দের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।