সকাল সকাল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজারহাটের একটি কাপড়ের গুদামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এদিনের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ভিতরে কেউ আটকে ছিল না বলেই জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই গঙ্গাভাঙনে উদ্বাস্তু পরিবারের ৪০টি বাড়ি, মৃত্যু মহিলার
স্থানের সূত্রের খবর, রাজারহাটের ওই কাপড়ের গুদামটি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। ৫ তলা ওই গুদামের একেবারে উপরের তলায় আগুন লাগে। ওই বহুতলেই রয়েছে একটি গেঞ্জি কারখানা। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। গোটা বহুতলে অনেক দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা। তবে তার আগেই দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় সাড়ে ৯ টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্য তলগুলিতে আগুন ছড়ায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুদামের ভিতরে সেই সময় কেউ ছিল না। তবে কী কারণে আগুন লাগে তা এখনও পরিষ্কার নয় দমকলের কাছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগে থাকতে পারে। যদিও আগুন লাগার কারণ লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বিধাননগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন লাগে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর পাঠায়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানিয়েছি, বিধায়ককেউ জানিয়েছি। খবর পেয়ে দ্রুত দমকলের গাড়ি পৌঁছে যায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
তিনি জানান, প্রথমে দমকলের ২ টি ইঞ্জিন আসে। তারপরে আরও ২টি ইঞ্জিনে আসে। মোট চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ভিতরে কেউ আটকে ছিল না বা কোনও হতাহত হয়নি। গোটা বিল্ডিংয়ে গেঞ্জি কারখানা এবং কাপড়ের গুদাম রয়েছে। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে কাপড়ের গুদাম রয়েছে বলে তিনি জানান। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।