দ্য কেরল স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে তাঁর বিরোধিতা কি তবে উপলক্ষ্যমাত্র? মমতার বিরুদ্ধে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর ক্ষোভ কি আরও গভীর ও ব্যাপক? বুধবার তাঁর এক সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। রাতে শুভাপ্রসন্নর বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। তবে শুভাপ্রসন্ন স্পষ্ট করেন, তিনি তাঁর অবস্থানে অনড় রয়েছেন।
বুধবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। কিন্তু মমতাকে দিয়ে নয়। মমতা ছাড়া বিকল্প ছিল না। তাই আমরা মমতাকেই বলেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘এই পরিবর্তন চাইয়ের কারিগর আমি। আমরা হেঁটেছি। সমস্ত বুদ্ধিজীবীকে এক করেছি। মমতাকে কেউ চিনত না। মমতা কোথাও এলে মানুষ চলে যেত। এমন দিন গেছে। এমন জায়গায় মমতাকে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল, যেখানে উনি গেলে ব্যবসায়ীরা চলে যাবে বলে মমতাকে আনা হয়নি। মমতার ওই উচ্চারণ শুনে সেখানে বসে থাকা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা ব্যঙ্গোক্তি করছিল। আমি তার প্রতিবাদ করেছি’। তাঁর দাবি, ‘আমি তো মমতার চাকরিও করি না তৃণমূলের সদস্যও নই, রাজ্যসভার পদলোভী নই। আমার কীসের পরোয়া?’
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভাপ্রসন্ন বলেন, ‘এখন ভালো আছে। যখনই ঔদ্ধত্য পেয়ে যাবে, যখনই এরা মানুষের ক্ষতি করবে, যখনই এরা কৃষকদের ওপরে গুলি চালাবে বা শোষণ করার জন্য কাজ করবে। যখন শোষকের ভূমিকা নেবে তখনই আমরা পাল্টে দেব’।
মঙ্গলবার কেরল স্টোরি ছায়াছবিটি নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে নিজের মত প্রকাশ করেন শুভাপ্রসন্ন। জানান মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারী। এর পরই তৃণমূলের তরফে তাঁকে আক্রমণ করা শুরু হয়। রাতে শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, শিল্পীকে প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা বুঝিয়েছেন তিনি। কুণালের পাশে দাঁড়িয়ে শুভাপ্রসন্ন জানান নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তিনি।