বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার দায়ে ২ বিজেপি বিধায়ককে এই অধিবেশনের জন্য বহিষ্কারের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিধানসভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, এখানে মানুষের অবস্থা তুলে ধরার সুযোগ নেই। সঙ্গে তাঁর অভিযোগ হিটলারি আচরণ করছে রাজ্য সরকার।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, বিনা কারণে আমাদের ২ জন বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও মিহির গোস্বামীকে সংখ্যার জোরে বহিষ্কার করেছে শাসকদল। সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লবিতে বসে ধরনা দেবেন। সঙ্গে থাকবেন অন্য বিধায়করাও।
শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, বিধানসভায় সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনে তুমুল হট্টগোলের পর মঙ্গলবার ছিল প্রয়াত বিধায়কদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্ব। সেখানে প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন আমাদের বিধায়করা। কিন্তু ২ মিনিটে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেল। কারণ নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। মোট বরাদ্দ ছিল ৫ ঘণ্টা। মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে ফোন করে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘২ দিনের আলোচনা একদিনে শেষ করতে হবে। কারণ জানতে চাইলে বলেন ১৪ তলার নির্দেশ।’ আসলে বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোবে। সেখানে ফের যোগী আদিত্যনাথের সরকার ফিরবে। তাই বিজেপি বিধায়ক ও মিডিয়ার সামনে মুখ দেখাবেন না মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর কথায়, ‘ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়।’