নন্দীগ্রামের বিধায়ক হলেও এখনো MLA হোস্টেলে তাঁকে ঘর দেয়নি রাজ্য সরকার। ঘর পাননি বহু বিজেপি বিধায়ক। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের রাতে পাঁচতারা হোটেলে থাকতে হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই যুক্তিজাল সাজালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাতে প্রশ্ন থামছে না। প্রশ্ন উঠছে, একসঙ্গে থাকতে পাঁচতারা হোটেলই কেন পছন্দ হল বিজেপি নেতৃত্বের? প্রান্তিক মানুষের সেবকদের একসঙ্গে থাকতে গেলে পাঁচতারা হোটেল ভাড়া করতে হয় কি?
সোমবার শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বিজেপি বিধায়করা উত্তরবঙ্গ থেকে আসেন। প্রত্যেকের গাড়ি নেই। বিজেপি বিধায়কদের সবাইকে এমএলএ হোস্টেলে ঘর দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা, আমাকেই ঘর দেয়নি। আমার ঠিকানা নন্দীগ্রাম। তাও ঘর দেয়নি। স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার বিরোধী দলনেতাকে রাজ্য সরকার ঘর দেয়নি’।
তাঁর যুক্তি, ‘আমরা একটা জায়গায় থেকেছি। চা খেয়েছি। রুটি, ডাল, ভাত, মাছ খেয়েছি ...ভোট দিতে এসেছি, কী মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে? কয়লা গোরুর টাকা থেকে বিজেপির টাকা আসে না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ নির্বাচনী বন্ডে বিজেপিকে টাকা দেয়’।
রাজ্য রাজনীতিতে বিধায়কদের পাঁচতারা হোটেলে রাখার ঘটনা নজিরবিহীন। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এই অসুস্থ প্রবণতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অছিলায় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে আমদানি করল বলে অভিযোগ অনেকের। তাদের দাবি, বিজেপি বিধায়কদের একসঙ্গে থাকায় কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু একসঙ্গে থাকার জন্য পাঁচতারা হোটেলই কেন পছন্দ হল তাদের? যে দল অন্ত্যোদয়ের বুলি আউড়ে রাজনীতি করে তাদের এই ধরণের আচরণ মানায় কি?