একটা সময় তিনিই 'মানভঞ্জন'-এর চেষ্টা করেছিলেন। নরম সুরে কথা বলছিলেন। কিন্তু বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর দিনেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। দাবি করলেন, বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার 'উচ্চাশা এবং লোভ' ছিল শুভেন্দুর। বিজেপিতে সেই উচ্চাশা কীভাবে পূর্ণ হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান সৌগত।
শুভেন্দুকে নিয়ে প্রথম থেকেই আশা জিইয়ে রেখেছিলেন সৌগত। ক্ষোভ প্রশমনে দু'দফায় বৈঠক করেছেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে বসিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকের ১৪ ঘণ্টা পরই শুভেন্দুর হোয়্যাটসঅ্যাপ পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন দমদমের সাংসদ। বুধবার শুভেন্দু বিধায়ক হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার পর সেই সৌগত দাবি করেন, এই পরিস্থিতি যে তৈরি হবে, তা জানত তৃণমূল। গত ২ ডিসেম্বরই তা বুঝতে পেরেছিল। তবে বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু যে ইস্তফা দিয়েছেন, তা বৈধ নয় বলে দাবি করেন সৌগত।
কিন্তু কী কারণে শুভেন্দু এই পদক্ষেপ করলেন? তা নিয়ে নিউজ ১৮-কে দমদমের সাংসদ বলেন, 'উচ্চাশা এবং লোভ - উনি কিছু হতে চাইছেন। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই হতে চাইছিলেন। উনি ভেবেছেন, এখানে হয়তো হবে না। বিজেপি হয়তো লোভ দেখিয়েছে।' শুভেন্দু অবশ্য এখনও সরকারিভাবে নিজের গন্তব্য জানাননি। যদিও সৌগত দাবি করেছেন, শুভেন্দু যে বিজেপিতে যোগ দেবেন, সেই খবর তাঁর কাছে আছে। শুভেন্দুর এখনও 'মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর পরেরজন হওয়ার উচ্চাশা' আছে। বিজেপি হয়তো শুভেন্দুকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করার 'লোভ' দেখিয়েছে বলেও দাবি করেন সৌগত।
একটা সময় রাজ্যের একাধিক জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু পরে সেই পর্যবেক্ষক পদই তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সৌগত বলেন, 'পাঁচ-ছ'টি জেলার নিয়ন্ত্রণ চাইছিলেন। তা সম্ভব নয়।'