বর্তমানে সরকারের একাধিক পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। জমি জায়গা সংক্রান্ত একাধিক পরিষেবাও মিলছে অনলাইনে। সেক্ষেত্রে নাগরিকদের সমস্যা যেমন কমেছে তেমনি সময়ও বেঁচেছে। জমির খতিয়ান, দাগ নম্বর, মিউটেশন থেকে শুরু করে খাজনা জমা দেওয়ার কাজ হয়ে থাকে অনলাইনে। এই অবস্থায় খাজনা জমা দেওয়ার পদ্ধতিকে আরও সরলীকরণ করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। এতদিন খাজনা জমা দিতে গেলে একাধিক তথ্য আপলোড করতে হত ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে। তবে এবার আর তা দরকার হবে না।
আরও পড়ুন: বকেয়া কর আদায়ে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা, চালু করা হচ্ছে নতুন নিয়ম
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে প্রথমবার খাজনা জমা দিতে গেলে সে ক্ষেত্রে জমি জায়গা, পরিচয় সংক্রান্ত ১৩ টি তথ্য আপলোড করতে হয়। কিন্তু, এবার থেকে একবার অনলাইনে খাজনা জমা দিলে দ্বিতীয়বার আর সেই সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হবে না। সেক্ষেত্রে খাজনা জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় এলেই মোবাইলে একটি লিঙ্ক চলে আসবে। ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে সেই লিঙ্ক পাঠানো হবে। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সহজেই খাজনা মিটিয়ে দেওয়া যাবে। মূলত খাজনা দেওয়ার পদ্ধতিকে আরও সরল করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতিতে খাজনা জমা করতে গেলে যে সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হয় সেগুলি হল জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জেলা, ব্লক ও মৌজা। এছাড়া, আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেল আইডি, আধার নম্বর, শেষবার জমা দেওয়া খাজনার রশিদের ফটোকপি আপলোড করতে হয়। এক্ষেত্রে যেমন খাজনা দাতাকে অনেক তথ্য সঙ্গে রাখতে হয় তেমনি সময়ও কিছুটা অতিবাহিত হয়। সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইলে আসা লিঙ্কে ক্লিক করলেই খাজনা দেওয়া সম্ভব হবে। আর একবার খাজনা জমা হলেই ইমেইল আইডিতে রশিদ পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার পরিষেবা চালু হয়েছিল ২০২২ সালে। সেক্ষেত্রে দালালরাজ রুখতে এবং দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের হয়রানি রুখতে এই পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এই পরিষেবা চালু হওয়ার পরেই ব্যাপক সাড়া মেলে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ মানুষ অনলাইন পদ্ধতিতে খাজনা জমা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার পদ্ধতি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এবার এই পদ্ধতি সরলরীকরণ হওয়ার ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছে ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতর।