বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার কইখালির সংহতি পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাটে মাঝবয়সি এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই মহিলা একজন বার সিঙ্গার ছিলেন। বিভিন্ন বারে তিনি গান করতেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণে হাতের কব্জি কেটে আত্মঘাতী হয়েছেন রানী সুরানা নামে ওই বার সিঙ্গার। তাঁর আত্মহত্যার পিছনে কী রহস্য রয়েছে তা জানার জন্য পুলিশ ওই বার সিঙ্গারের পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আরও পড়ুন: গোটা ঘরে রক্তগঙ্গা, কইখালিতে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার শিরা কাটা দেহ
পুলিশ জানিয়েছে, বার সিঙ্গারের প্রতিবেশীরা বুধবার সকালে উঠেই দেখতে পান, ওই ফ্ল্যাটের দরজা তলা দিয়ে জল এবং রক্ত বইছে। তখনই তাঁরা বিপদের আঁচ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের ভিতরে শৌচাগার থেকে ওই মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বিধান নগরের ডেপুটি কমিশনার (এয়ারপোর্ট) ঐশর্য্য সাগরও ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে,হাতের কব্জি কাটার পর সুরানা বাড়ির মালিকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। বাড়ির মালিককে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। বেশ কয়েকবার তিনি বাড়ির মালিকের দরজাতে ধাক্কাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চাননি বাড়ির মালিক। ডেপুটি কমিশনার জানান, ‘আমরা তাঁকে বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পেয়েছি। মনে করা হচ্ছে রক্ত ধুয়ে ফেলার জন্য তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। শেষে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।’ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
যদিও ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করতে পারেনি। মহিলার প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, রানী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর স্বপক্ষে ডাক্তারি কোনও রিপোর্ট বা প্রেসক্রিপশন এখনও পর্যন্ত পুলিশের হাতে আসেনি। এ অবস্থায় ওই মহিলা কী কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তা জানার জন্য প্রতিবেশী থেকে শুরু করে মহিলার পরিচিতদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে।