এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না— শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বুথস্তরের কর্মী— একে একে দল ছাড়ছেন অনেকে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে তৃণমূলে ভাঙন স্পষ্ট। কিন্তু তার মধ্যেও আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা দলের বোঝা। তৃণমূল মোটেই উদ্বিগ্ন নয়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শীলভদ্র দত্তের মতো বেশ কয়েকজন নেতার দলত্যাগের পর এদিনের বৈঠকের ওপর নজর ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ছিলেন দলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দলনেত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, বড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলে কে এল, দল থেকে কে গেল তা নিয়ে দল একেবারেই চিন্তিত নয়। যাঁরা যাচ্ছেন বা বেসুরো হয়েছেন তাঁরা দলের বোঝা ছিল। এক ইঞ্চি জায়গাও না ছেড়ে এই নির্বাচনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই চলবে তৃণমূলের প্রচার।
দলীয় সূত্রে খবর, গত ১০ বছরে রাজ্যে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ হয়েছে সেটাকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে পৌঁছনোর বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘বঙ্গধ্বনি’র মতো বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে আরও জোর দেবে শাসকদল। সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, দলনেত্রী এদিনের বৈঠকে সকলকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘দল অনেক বড়। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সবাই মিলে নির্বাচনে ঝাঁপাতে হবে। জয় নিশ্চিত।’