বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপি যোগের কথা বলেছিলেন। অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাও এই অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার সেই অভিযোগ চরমে উঠল। আতিফ রশিদকে নিয়ে সেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, একসময় বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পদে থাকা আতিফকে মানবাধিকার কমিশন দলের সদস্য করা হয়েছে। সুতরাং গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যেই ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ রয়েছে।
এই বিষয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি টুইটে জানান, এখন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস–চেয়ারম্যান এবং রাজ্যে নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে অশান্তির ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের দলের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদ একসময় বিজেপির ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন, যুব মোর্চার সর্বভারতীয় পদে ছিলেন। তিনি দিল্লিতে সংখ্যালঘু মোর্চারও শীর্ষ পদেও ছিলেন। অর্থাৎ তিনিও ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র কথা ঘুরিয়ে বললেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই বিষয়ে অবশ্য আতিফ বলেন, ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারে বসার দিন থেকে আমার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ নেই। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। অভিষেক মনু সিংভি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমার পরিচয়ের দিকে না তাকিয়ে আমরা যে রিপোর্ট দিয়েছি তা নিয়ে কথা বলা উচিত।’
এই বিষয়ে অবশ্য আতিফ বলেন, ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারে বসার দিন থেকে আমার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ নেই। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। অভিষেক মনু সিংভি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমার পরিচয়ের দিকে না তাকিয়ে আমরা যে রিপোর্ট দিয়েছি তা নিয়ে কথা বলা উচিত।’|#+|
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই রিপোর্ট যে অসত্য তাও দাবি করেছেন তৃমমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা। যদিও এই রিপোর্টের পর রাজ্য সরকারের পদত্যাগ করার উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও রিপোর্টের কিছু বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কমিশনের অবশ্য বক্তব্য, যদি রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকে তা রাজ্য সরকার আদালতে বলুক যে ওই অভিযোগগুলি অসত্য।