রাজ্যের যুব সমাজ ক্রমশ ঝুঁকছে বিজেপির দিকে। সেকথা বুঝতে পেরে এর মধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক রদবদলে একাধিক জেলায় প্রবীণ নেতাদের সরিয়ে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবীনদের। তার মধ্যে রয়েছেন পার্থপ্রতীম রায়, মহুয়া মৈত্র, লক্ষ্মীরতন শুক্ল। কিন্তু যুবাদের কাছে পৌঁছনোর কোনও চেষ্টাই বাদ রাখতে চায় না তৃণমূল। তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হল দলের নতুন ক্যাম্পেন। নাম ‘সোজা বাংলায় বলছি’। তৃণমূলের নতুন এই ক্যাম্পেনের মুখ দলের চিরযুবা সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন।
তৃণমূলের তরফে রবিবার এই ক্যাম্পেনের সূচনা করে জানানো হয়েছে সপ্তাহে ৩ দিন ১টি করে ১ মিনিটের ভিডিয়ো প্রকাশ করা হবে দলের তরফে। তাতে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের নানা নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন ডেরেক। প্রতি বুধ, শুক্র ও রবিবার প্রকাশিত হবে নতুন ভিডিয়ো।
এদিন যে ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয় তাতে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করেন ডেরেক। পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রচারে কোথাও নেই তৃণমূলের লোগো। নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি। যা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ খোদ ডেরেকও। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে বাঙালি জাতিসত্ত্বার আবেগকে হাতিয়ার করতে চায় তৃণমূল। তাই নিজেদের দল, মত, ধর্মের উর্ধ্বে দেখানোর চেষ্টা শুরু করল তারা। তাছাড়া যাদের উদ্দেশে এই ভিডিয়ো, সেই যুব সমাজও সব জায়গায় রাজনীতির কচকচানি পছন্দ করে না। ফলে ভিডিয়োয় তৃণমূলের লোগো ব্যবহার করলে ফল হতে পারে হিতে বিপরীত।
বলে রাখি, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঠিক একই ভাবে ‘আমার প্রথম ভোট’ নামে একটি ক্যাম্পেন শুরু করেছিল তৃণমূল। তাতে প্রথমবার ভোটদাতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই প্রচারেরও দায়িত্বে ছিলেন ডেরেক। তবে তাতে ফল খুব একটা হয়নি। রাজ্যের যুব ভোটারদের ভোট পেয়েছিল বিজেপিই।