বিজেপির পরিষদীয় দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কারণ বিজেপি বিধায়করা গলায় উত্তরীয় বা আদিবাসী সমাজের ‘পাঞ্চি’ পরে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকছেন। যা নিয়ম নয়। তাই এই কাজের জন্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা।
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? আজ, সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাই রাজ্য বিধানসভায় শাসক–বিরোধী প্রত্যেক দলের বিধায়করা ভোট দিতে এসেছেন। সেখানেই আদিবাসীদের পোশাক পরে বিধানসভায় ঢুকেছেন বিজেপি বিধায়করা। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপি বিধায়করা আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক পাঞ্চি পরে ভোট দিচ্ছেন। আবার তাঁদের পোলিং এজেন্টও পাঞ্চি পরেছেন। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল। তাই কমিশনে জানানো হয়েছে।’
ঠিক কী এই পাঞ্চি? বিজেপি বিধায়কদের প্রত্যেকেরই গলায় হলুদ রঙের উত্তরীয় পরা ছিল। জানা গেল, এগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসকদল বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু জনজাতির প্রতিনিধি, তাই তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাপড়ের উত্তরীয় গলায় পড়ে বিধানসভায় এসেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। এনডিএ’র প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে বিজেপি বিধায়কদের প্রত্যেকেরই গলাতেই ঝুলছে ওই সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় পাঞ্চি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির হোটেল রাজনীতি নিয়ে। নিজেদের বিধায়কদের হোটেলে বন্দি করে রেখেছিলেন তাঁরা। আর তা নিয়ে অর্জুন সিং থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁচা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। উল্টোদিকে দিলীপ ঘোষ সবার ভোট চেয়ে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনায় চাপে রয়েছে গেরুয়া শিবির।