শেখ শাহজাহানকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রায় একমাস হতে চলল সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এখনও অধরা। এই নিয়ে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে বিরোধী নেতারা কড়া মন্তব্য করে চলেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে খুঁজে বের করতে সিট গঠন করেও লাভ হয়নি। এমনকী দ্বিতীয়বার ইডি অফিসাররা সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে তালা ভেঙেও কিছু পাননি। শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। এবার এই আবহে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে শেখ শাহজাহানকে কোনওরকম সমর্থন করেননি ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বাড়ি গিয়ে ইডি অফিসাররা বেদম মার খেয়েছিলেন। মাথা ফেটে গিয়েছিল। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পর্যন্ত রেহাই পাননি। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে মেয়রের স্বীকারোক্তি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বলেন, ‘শাহজাহান যা করেছে সেটা অন্যায় করেছে।’ ২২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। তার মধ্যে এবার ফিরহাদ হাকিমের এমন মন্তব্য জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এই প্রথম রাজ্যের কোনও বড় মাপের মন্ত্রী প্রকাশ্য মন্তব্য করেলন।
অন্যদিকে শেখ শাহজাহানের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। তাই এবার সমর্থন করার পরিবর্তে বিরোধিতা করলেন ফিরহাদ হাকিম। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শেখ শাহজাহানের পাশ থেকে সরে যাওয়া ড্যামেজ কন্ট্রোলের লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনার পর দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আগে ইডি–সিবিআই ভিন রাজ্যে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য তুলে এনেছিলেন। সমর্থন সরাসরি না করলেও রাজনীতি করা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: ‘এটা কোনও চূড়ান্ত রায় নয়’, জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এএসআই রিপোর্টে মন্তব্য মুসলিম কমিটির
অন্যদিকে শেখ শাহজাহানের মাথার উপর থেকে কি হাত তুলতে শুরু করে দিল? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ফিরহাদ হাকিম যা বলেছেন সেটা খুব সহজে হজম করার বিষয় নয়। আজ, শনিবার মঞ্চ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘শাহজাহান যা করেছে তা অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিসারদের। যেটা করেছে নিশ্চিত করে বলছি অন্যায় করেছে।’ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যখন এমন মন্তব্য করছেন তখন পিছনে নিশ্চিত কোনও কারণ আছে। তাহলে কি এবার শেখ শাহজাহান ধরা পড়বে? উঠছে প্রশ্ন।