এবার ইডির বিরুদ্ধে সরাসরি আদালতে নালিশ করলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মাঝরাতে ইডি দফতরে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। এখন অবশ্য তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকেও গ্রেফতার হতে হয়েছিল। কিন্তু সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু জিনিস নাকি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ফেরত দেয়নি তাঁকে বলে অভিযোগ তুললেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ব্যক্তিগত জিনিস আটকে রাখা হয়েছে বলে রীতিমতো নালিশ করলেন তিনি।
এদিকে গ্রেফতার করার সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মানিকবাবুর কাছ থেকে নিয়েছিল পৈতে, আংটি, মাদুলি–সহ গলার চেন বলে অভিযোগ। আজ, মঙ্গলবার আদালতে দাঁড়িয়ে তা ফেরত চাইলেন নিয়োগ দুর্নীতি গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আদালতে জানান, অনেকবার এই সব ফেরত চেয়েছেন তিনি। এমনকী ইডি অফিসাররা বিষয়টি জানেন। কিন্তু তিনি বারবার চাওয়ার পরও এখনও কিছুই ফেরত পাননি। আদালতের মাধ্যমে এবার সমস্ত ব্যক্তিগত জিনিস ফেরত চাইলেন মানিক। আংটি, পৈতে, মাদুলি ফেরত চেয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে এই অভিযোগ জানান মানিক।
অন্যদিকে আদালতে শুনানি চলাকালীন এক মুহূর্তের জন্য হাত তোলেন মানিকবাবু। তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কিছু বলবেন?’ তখন মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্যার আমার কিছু বলার আছে। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মাঝরাতে ইডি অফিসাররা আমার কিছু ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে নেন।’ বিচারকের প্রশ্ন, ‘কোথা থেকে?’ জবাবে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইডি অফিস থেকে।’ বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি ওখানে ছিলেন?’ মানিকের সটান জবাব, ‘হ্যাঁ সেদিন গ্রেফতার হয়েছিলাম। ইডি অফিসাররা ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ কিছু জিনিস নিয়ে নেন। একাধিকবার বলেছি ফেরত দিতে। বারবার বলছে দিয়ে দেবে। কিন্তু দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘চিপ লাগানো যে কোনও মেশিন হ্যাক করা সম্ভব’, হারের পর বিস্ফোরক তত্ত্ব দিগ্বিজয় সিংয়ের
তারপর এই নালিশ শুনে অন্যান্য আইনজীবীরা পরস্পরের মুখের দিকে তাকাতে শুরু করেন। কারণ এগুলি ইডি আটকে রেখেছে কেন? তা কেউ বুঝতে পারছেন না। মানিক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ওরা গ্রেফতারির দিন ওই জিনিসগুলি নিয়ে আলমারিতে রেখে দিয়েছিলেন। তার পর থেকে ১০ বার ফেরত চেয়েও পাইনি।’ পলাশিপাড়ার বিধায়ক আদালতে জানান, তিনি পাবলিক প্রসিকিউটরকে (পিপি) বলেছেন। বিচারক বলেন, ‘তা হলে আমাকে আবার বলছেন কেন? নির্দিষ্ট ফোরামে জানান।’ মানিক আবেদন করলে তখন নির্দিষ্ট নির্দেশ দেবেন বলে জানান বিচারক।