আজ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের উত্তর গেটের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন দলের নেতা–কর্মীরাও। আজ দ্বিতীয় দিন এই ধরনার। নয়াদিল্লি থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বার্তা পাঠিয়েছেন ‘ঘেরাও নয়, ঘর আও’। কিন্তু তাঁরা কার কাছে যাবেন? রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তো রাজভবনে নেই। কবে আসবেন সেটাও উল্লেখ করেননি। সেখানে ঘর আও বললে তো চলবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মঞ্চে নানা গান হচ্ছে। নানা কথা বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ থেকে মন্ত্রীরা। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন রাজভবনের গেটের দিকে।
এই তাকিয়ে থাকা দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য স্থির। গরিব মানুষের টাকা দিতেই হবে। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। আবার নিজের মনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দলের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘সংকল্প এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ন্যায্য বিচারের দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে। আমরা এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ব না। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে ধরনা চলছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করছেন রাজ্যপাল ততক্ষণ ধরনা সরবে না। রাজভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ ধরনা চলছে।’
এদিকে আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা মঞ্চের সামনে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আরও শক্তপোক্ত করা হচ্ছে মঞ্চ। বৃষ্টি আটকাতে মজবুত ছাউনি বসানো হয়েছে। যাতে ধরনা মঞ্চেই রাত কাটানো যায়। তার জন্য পর্দা লাগানো হয়েছে। তবে সবটাই হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে। রাতে বাকি নেতারা ধরনা মঞ্চ থেকে চলে গেলেও অভিষেক থেকে গিয়েছিলেন। মঞ্চের পিছনে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেই ক্যাম্পেই ছিলেন অভিষেক। সকাল ১১টার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার ধরনা মঞ্চে যোগ দেন। রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দেদার ধরা পড়ছেন বিনা টিকিটের যাত্রী, টিকিট পরীক্ষক নিযুক্ত মেট্রো পথে
আর কী বক্তব্য সাংসদের? আজ, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘দ্বিতীয় দিনের ধরনায় আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি আন্তরিকভাবে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, জমিদারদের দেখাতেই কি এড়িয়ে যাচ্ছেন? তিনি যদি ভাবেন, আমরা বাংলার মানুষের বঞ্চনা দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকব তাহলে বড় ভুল করবেন। আমি নিশ্চিত করে দিচ্ছি, বাংলার মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই দৃঢ়চিত্তে করে যাব।’ জমিদারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ তারই জবাব দিলেন অভিষেক।