তৃণমূল কংগ্রেসে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে আকচা–আকচি চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বয়ং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদ ছাড়তে চান বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই কথা তিনি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, আর দু’একদিনের মধ্যে এই কথা তিনি নিজেই জানাবেন বলে খবর। সেটি দু’ভাবে হতে পারে। এক, সাংবাদিক সম্মেলন করে। দুই, টুইট করে।
ঠিক কী কারণে তিনি পদ ছাড়তে চাইছেন? এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে বিধায়ক বলেন, ‘মোটামুটি চারটি কারণ আছে অভিষেকের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেওয়ার। তার মধ্যে প্রথম কারণ হল, তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি তিনি করেই ছাড়বেন। সেটা নিজেকে দিয়েই শুরু করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, আইপ্যাকের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তৃতীয় কারণ হল, অভিষেক চেয়েছিল মেয়র হিসাবে তাঁর পছন্দের দু’জনের মধ্যে একজনকে করা হোক। সেটা হয়নি। আর চতুর্থ বা সর্বশেষ কারণ, আইপ্যাকের তৈরি পুরসভার প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত সিলমোহর। সেটাও হয়নি।’
এই একাধিক কারণে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে গিয়ে শুধু সাংসদ হিসাবে এলাকার কাজ এবং দলের কথা সংসদে তুলে ধরতে চান। গোয়া বিধানসভা নির্বাচন ১৪ ফেব্রুয়ারি। তাই বিষয়টি এখন চেপে রাখা আছে। এই নির্বাচন মিটলেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আনবেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা ফেসবুক–টুইটারে পোস্ট করতে শুরু করেছেন এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি তাঁরা সমর্থন করেন।
কবে তিনি এই পদ ছাড়ছেন? সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঠিক করেছেন ১৫ ফেব্রুয়ারি এই পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করবেন। তবে তার আগে যদি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় তাহলে তা পাল্টেও যেতে পারে। তাহলে কী স্বয়ং তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বিবাদ? ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, কোনও বিরোধ নেত্রীর সঙ্গে হয়নি। তবে কয়েকজন নেতার ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছেন অভিষেক। তাই নিজেই সরে যেতে যান এবং বার্তা দিতে চান। এখন দেখার খেলা কোন পথে গড়ায়।