নন্দীগ্রামে সিপিএমের কায়দায় করোনায় মৃতদের লাশ চুরি করছে তৃণমূল। শনিবার বিধাননগরে নিজের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অন্যায় হচ্ছে।’
এদিন দিলীপবাবু দাবি করেন, ‘ডেডবডি লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। আত্মীয়-স্বজনকেও দেওয়া হচ্ছে না। করোনা ডেডবডির মতোই তাকে পোড়ানো হচ্ছে, কিন্তু স্বীকার করা হচ্ছে না। রেকর্ড করা হচ্ছে না।‘
রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, ২, ৫, ১০, ১২ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একেকটা হাসপাতালে। সবই করোনাভাইরাসের আক্রমণে মারা গিয়েছে। সেটাকে স্বীকার করা হচ্ছে না।‘
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, ‘যে ১০ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে তারা কোন হাসপাতালে, কবে মারা গিয়েছেন, কী নাম, তা বলছে না তৃণমূল সরকার। শুধু সংখ্যা বলা হচ্ছে। মৃতের নাম ও হাসপাতালের নাম বললে বাকি কাদের মৃত্যু লুকানো হল তা ধরা পড়ে যাবে। তাই মৃতের নাম বলছে না রাজ্য সরকার।‘
দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘আমার তো মনে হয় যা মৃত্যু দেখানো হচ্ছে তার অন্তত ৪ গুণ মানুষ মারা গিয়েছেন। আর সেই সমস্ত লাশ গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের আমলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের বহু লাশ গায়েব হতে দেখেছি। নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। লাশ চুরি হয়েছে। আজ তৃণমূল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সম্মান দিচ্ছে না। করোনায় মৃতের লাশ সম্মানের সঙ্গে দাহ করা হচ্ছে না। এখানে লাশ চুরি করা হচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর অপরাধ।‘
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই সোচ্চার হয়েছে বাম ও বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্য সরকার করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে। সরকারের পালটা দাবি, চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিই তৈরি করছে মৃতের তালিকা।