নারদ মামলার শুনানি হোক অন্য রাজ্যে। এই মর্মে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে এদিন শুরু হয় মামলার শুনানি। আর এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই এই আবেদন যাতে না শোনা হয়, সেই আর্জি জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চকে কিশোর দত্ত বলেন, 'এই মামলা এই আদালত শুনতে পারে না।' এদিকে আজকের মতো শুনানি শেষ হলেও কোনও রায় দেওয়া হয়নি আদালতের তরফে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার সকাল ১১টা।
এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত তিনটি বিষয় উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, ১৭ মে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি না শুনেই রায় দিয়েছিল। তাছাড়া তাঁর দাবি, ফৌজদারি মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারে না এই আদালত। পাশাপাশি কিশোর দত্তের যুক্তি, ডিভিশন বেঞ্চের বিষয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারে না।
এরপরই এই যুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের বিতর্ক শুরু হয়। তা থামাতে আদালতের তরফে বলা হয়, আমরা সব পক্ষের কথাই শুনব। এদিকে বেঞ্চের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে কড়া ভাষায় কথা শোনান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং হরিশ টন্ডন। আদালতের তরফে বলা হয়, 'এখন বেঞ্চের দক্ষতা নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলছেন। আপনার কথা মতো আমরা পিছিয়ে যেতে পারি না। আপনাদের এই আপত্তির কথা সুপ্রিমকোর্টে জানানো উচিত ছিল।' এরপর মামলা না শোনার আর্জি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলও।
এরপর সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করার অনুমতি চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, গত ৪৫ মিনিট ধরে অন্য বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। আমাকে বলতে দেওয়া হোক এবার। এরপরই নারদ মামলাটি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন আদালতে পেশ করেন তুষার মেহতা। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের পাঠানো আবেদনের সব ফাইল আসেনি। এরপরই আজকের মতো স্থগিত হয় শুনানি। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় হবে বলে জানানো হয় আদালতের তরফে।