দিল্লি থেকে এসে সোজা দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি অভিযোগের সুরেই জানালেন, ‘যে ধর্মেরই মানুষ হোক না কেন, তাঁরা হিংসা সৃষ্টি করে না। আসলে হিংসা কিছু রাজনীতিকের মন থেকে আসে যাদের মনটা নোংরায় ভরা।’
এদিন দক্ষিণেশ্বরে সংগ্রহশালা, প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ধর্ম নিয়ে অশান্তি সাধারণ মানুষ করেন না। অশান্তি ছড়ান কিছু রাজনৈতিক নেতা। বাংলা কারও কাছে ভিক্ষা চায় না। গঙ্গাসাগর, তারাপীঠের উন্নতি হয়েছে। কালীঘাটে ৩০০ কোটি টাকা খরচে স্কাইওয়াক তৈরির পরিকল্পনা করেছি। কেএমডি আরো ১০ কোটি টাকা দেবে গেস্ট হাউসের কাজ শেষ করার জন্য। আমি নামাজ পড়ি না ইফতারে যাই। অসুবিধার কী আছে? আমি যদি জৈন মন্দিরে যাই, তাহলে আপত্তি কোথায়? জৈন মন্দিরের জন্য আমি ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতার মস্তিষ্ক ডাস্টবিনে ভর্তি। তাঁরা আগুন লাগায়, গাড়ি পোরায়। মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বসে পড়ছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য বক্তব্য রাখব কেন? এটা সকল ধর্মের জন্যই বলছি।’
এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঠাকুর রামকৃষ্ণ, রানি রাসমনি দর্শনকে সামনে রেখে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘জীবনটা খুব ছোট। এই জীবনে কোনও অন্যায় কোরও না।’ এদিন রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আজকে দক্ষিণেশ্বরটা চোখ মেলে ভালো করে দেখলাম। আগের থেকে অনেক ভালো লাগল। দক্ষিণেশ্বর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ঝাড়গ্রামে একটি আদিবাসী স্কুল রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়েছিলাম। এবারে দেখলাম সব ছাত্রছাত্রীরা পাশ করেছে।’