সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটেছে। তাতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের প্রার্থী করে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই নজরে এবার আদিবাসী উন্নয়ন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আদিবাসীদের জন্য বহু কাজ করেছেন। তারপরও আদিবাসীদের উপর বাড়তি নজর দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জেলায় জেলায় ‘আদিবাসী দিবস’ পালন করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আজ, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অগস্ট মাসে আদিবাসী দিবস পালন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আদিবাসি দিবস পালনের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে ৯ অগস্ট আদিবাসী দিবস পালন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তখন আদিবাসী জেলাগুলিতে ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছিল। কিন্তু এবার শুধুই মিলেছে সাফল্য। তাই অতীতকে ভুলে না গিয়ে আবার আদিবাসী দিবস পালনে জোর দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেশের আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি কিছুদিন আগে শহরে এলে নেতাজি ইন্ডোরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সম্প্রতি বাংলার ১১টি জেলাকে ভূমি সম্মান দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাও ছিল। তাই এই সম্মান ধরে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এই কারণে জেলায় জেলায় আদিবাসী দিবস পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৯ অগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করা হয়। এই রাজ্যেও প্রত্যেকবার নির্দিষ্ট তারিখ ৯ অগস্ট আদিবাসী দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আদিবাসীরা শুধু আদিবাসী দিবস পালন করবেন এমনটা নয়। প্রত্যেক অঞ্চলে পালন করতে হবে আদিবাসী দিবস বলেই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ‘এবার কি আদালতকে নির্বাচন করাতে হবে?’ রাজ্যকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আদিবাসী অধ্যুষিত জেলার উপর নানাভাবে সরকার এবার বাড়তি নজর দিতে চাইছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সতীর্থদের বলেন, ‘অগস্ট মাসে আদিবাসী দিবস পালন করতে হবে। সবাই নিজের নিজের এলাকায় আদিবাসী দিবস পালন করবেন। সবাই নিজেদের জেলায় এবং অঞ্চলে এই আদিবাসী দিবস পালন করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের মানবিক হতে হবে। প্রতিবেশীদের খোঁজখবর রাখতে হবে। আদিবাসী মানুষের অসুবিধা–সমস্যা থেকে শুরু করে অভিযোগ শুনতে হবে। আর তৎপরতার সঙ্গে তার সমাধান করতে হবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সাত বছর ধরে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নিয়েছেন। আলাদা দফতর গঠন থেকে শুরু করে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের কল্যাণে সামাজিক প্রকল্পও এনেছেন। শিক্ষাশ্রী থেকে সংরক্ষণ, শিক্ষা ঋণ থেকে কেরিয়ার পরামর্শ কেন্দ্র গঠন এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন তিনি।