উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসাবে ঘোষণার দাবিতে বার বার আওয়াজ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। এমনকী বিজেপির একাধিক বিধায়ক এনিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু ধর্মতলায় ২১শের সভায় যোগদানকারী তৃণমূলকর্মীরা ঠিক কী চান? উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে সভায় এসেছেন তৃণমূল কর্মীদের। তাঁদের অনেকেরই দাবি, উত্তরবঙ্গ বরাবরের জন্য বঞ্চিত এটা মানছি। বর্তমানে সেই পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসাবে কখনই দেখতে চান না সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থেকে কলকাতায় সভা শুনতে এসেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনের বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা তাঁদের। হেমতাবাদের তৃণমূল কর্মী রহমত আলি , আমজাদ হোসেন, মসুদুর রহমান প্রমুখ জানিয়ে দেন, বিজেপি বাংলাভাগের চক্রান্ত করছে। উত্তরবঙ্গকে কোনওভাবেই আলাদা রাজ্য করতে দেব না। এই ধরণের চক্রান্ত করলে আগুন জ্বলবে।
তবে উত্তরবঙ্গে এইমস না হওয়া নিয়ে অবশ্য উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের অনেকের মনেই আফশোস থেকে গিয়েছে। রায়গঞ্জের পানিশালায় এইমস হাসপাতাল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কল্যাণীতে হয়েছে। এনিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মতে, এইমস উত্তরবঙ্গে হলে ভালোই হত। কিন্তু কৃষিজমিকে নষ্ট করে এইমস তৈরি হোক এটা আমরাও চাইনি। তাছাড়া এইমস নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। এটা কখনই কাম্য নয়।