দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে আশার আলো দেখল লুধিয়ানা – ডানকুনি ফ্রেট করিডর। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে জমি অধিগ্রহণে উদ্যোগী হবে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে জমিজটে আটকে রয়েছে ফ্রেট করিডরের কাজ। এই প্রকল্প শেষ হলে ডানকুনি থেকে দিল্লি হয়ে রেলপথে সোজা পণ্য পৌঁছে যাবে পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। যার ফলে রেলপথে পণ্য পরিবহণের গতি বাড়বে। বাড়বে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনাও। রেলের বারবার অনুরোধ সত্বেও এই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে এতদিন এগোয়নি রাজ্য সরকার।
ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জোর করে কৃষকের কাছ থেকে ১ ছটাক জমিও অধিগ্রহণ করবে না তাঁর সরকার। হোক না তা সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজনে। কিন্তু জমি রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসা মমতা এব্যাপারে ছিলেন অনড়। প্রায় ৯ বছরের অপেক্ষার পর সেই অবস্থান থেকে নড়লেন তিনি। জমি অধিগ্রহণে তৈরি করলেন কমিটি।
রাজ্যের তিন জেলা হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানের ওপর দিয়ে যাবে এই রেল লাইন। এই তিন জেলায় জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলাশাসকদের নিয়ে কমিটি গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত হয়েছে বাজারদরের দেড় গুণ দামে জমি কিনবে সরকার।
১৮৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্টার্ন ফ্রেইট করিডরের লুধিয়ানা থেকে বিহারের শোনপুর পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষ। সোনপুর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ৫৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশের কাজ জমিজটে এখনো শুরুই হয়নি।