পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়, কিন্তু উপাচার্য সহ কোনও পদাধিকারী ছিলেন না তাঁকে স্বাগত করার জন্য। এমনকী উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরও বন্ধ ছিল। এরপর লাইব্রেরিতে যান রাজ্যপাল। কিন্তু সেখানে দেখা মেলেনি লাইব্রেরিয়ানের, এমনই রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল।
এর আগে ধনখড়কে সেনেটের বৈঠক পৌরহিত্য করতে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। আজ সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তাঁকে জানান হয় যে অনিবার্য কারণের জন্য এদিনের বৈঠক হবে না।
কিন্তু এর পরেও রাজ্যপাল বলেন যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন শিক্ষক, পড়ুয়া ও কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার জন্য। একই সঙ্গে পাঠাগারে যাওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এই পরিকল্পনার কথা উপাচার্যকে জানানো হয়েছিল বলে রাজভবন দাবি করেছে।
কিন্তু এদিন যখন রাজ্যপাল উপাচার্যের অফিসে যান, তখন দরজা বন্ধ ছিল। চাবি কোথায় সেটাও কেউ বলতে পারেনি বলে রাজভবন জানিয়েছে।
পরে উপস্থিত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন এই বলে যে রাজ্যসরকার যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রিমোট কন্ট্রোল করতে চাইছে, এরকম ঘটনা তারই নিদর্শন। তবে রাজ্যে পঠনপাঠন সুস্থ পরিবেশ তৈরী করার জন্য তিনি যে সচেষ্ট থাকবেন, সেকথাও বলেন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী হাল, সেটি উপাচার্যের থেকে তিনি জানতে চাইবেন বলেও জানান ধনখড়।