ওয়েস্ট বেঙ্গল ভিকটিম কম্পেন্সেশন স্কিমের আওতায় এবছর ৯৯ জন্য নির্যাতিতাকে মোট ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য। এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে এ বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে। এ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫৩ জন নাবালিকাকে ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য। যার আর্থিক পরিমাণ ৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সর্বোচ্চ বার্ষিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। মোট ১৩৭ জনকে ৩.১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। এরপরে ২০১৮-১৯ সালে ১০০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই প্রকল্পটি ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল। যার সাহায্যে কেন্দ্রের সহযোগিতায় রাজ্য সরকার যৌন নিগ্রহের শিকার নাবালিকাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আদালত নির্ধারিত করে থাকে। এছাড়া আদালতের কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ না থাকলে রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। আদালত যদি ক্ষতিপূরণ অপর্যাপ্ত বলে মনে করে তাহলে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সাধারণত ধর্ষণের জন্য ক্ষতিপূরণ ৩ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য নিগ্রহের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বয়স ১৪ বছরের কম হলে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ টাকা হস্তান্তর করা হয়।
বিচার চলাকালীনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করছে তাহলে অর্থ ফেরত দিতে হবে। নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের একটি নোডাল এজেন্সি জয়প্রকাশ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল চেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক জয়দেব মজুমদার বলেন, ‘এই ধরনের ক্ষতিপূরণ যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নির্যাতিতাদের সাহায্য করে।'