রাজ্যের IAS-দের একাংশ রাজনৈতিক অভিষন্ধিমূলক আচরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে উত্ত দিনাজপুরের জেলাশাসকের জারি করা এক নির্দেশিকার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রবণতা রোধে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ডেপুটেশনে থাকা কেন্দ্রীয় কেডারের একাধিক আধিকারিকের আচরণ শুধু অপ্রত্যাশিতই নয় তা বাড়াবাড়ি রকমের সীমা লঙ্ঘন করে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ২০ এপ্রিল জারি এক নির্দেশিকায় সরকারি প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জায়গায় লিখেছেন বাংলা আবাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারতের নাম দিয়েছেন মিশন নির্মল বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার নাম লিখেছেন বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দুর অভিযোগ, আমার মনে হয় এই আধিকারিক শাসকদলের অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করে চলছেন। অপ্রাপ্য কৃতিত্ব আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছেন তিনি। তাঁর জারি করা এই নির্দেশিকা প্রমাণ করে তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। একজন IAS আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার করা এই অভিযোগ নজিরবিহীন বলে মনে করছেন অনেকে।
বলে রাখি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল নিয়ে বারবরই সরব বিজেপি। বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধিকাংশ টাকা আসে দিল্লি থেকে। তাই তাদের নামই থাকা উচিত। কিন্তু রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাংশে টাকা দিতে হয় তাদেরই, তাই তাদেরও নামকরণের অধিকার রয়েছে।
এবার দেখার, শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দফতর।