বিরোধিতা সত্ত্বেও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দেবে পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার ওই বৈঠকে রাজ্যটির প্রতিনিধিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষাসচিব মণীষ জৈন। শনিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজে।
সম্প্রতি নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাতে ৩৪ বছরের মরচে ঝেড়ে ফেলেছে কেন্দ্র। বিষয় নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। এই নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। তাদের দাবি, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে সরকার। সঙ্গে তাঁদের দাবি, এই ব্যবস্থায় শিক্ষার গেরুয়াকরণের আয়োজন হয়েছে।
ঘোষিত নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে এখনো বিজেপি বিরোধী প্রায় কোনও রাজ্যেরই সমর্থন পায়নি মোদী সরকার। তামিলনাড়ু থেকে তেলেঙ্গানা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এর বিরোধিতায় স্বর উঠেছে। ফলে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেব্যাপারেই আলোচনা করতে প্রথম বৈঠক আগামী সোমবার।
রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্রের দূরদর্শীতার অভাবের জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া যায় না। তাই নিজেদের বক্তব্য সেখানে ব্যাখ্যা করবে পশ্চিমবঙ্গ। সঙ্গে নতুন শিক্ষানীতির পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের পরামর্শও দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে ৪০ জন শিক্ষককে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ১৩টি স্কুলকে সেরা স্কুলের খেতাব দিয়েছে সরকার।