রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে তার আগেই লোকাল ট্রেন চলাচল নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তারই মধ্যে ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে রেলের তরফে রাজ্যের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানাল পূর্বরেল। সোমবারের বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
মে মাসে রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ চালুর পর থেকেই বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। যার ফলে শহরতলি থেকে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছেন না বহু মানুষ। লোকাল ট্রেন পরিষেবা কবে শুরু হবে তা নিয়ে উদ্গ্রীব তাঁরা। এরই মধ্যে রেলের তরফে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরুর আবেদন জানানো হল।
রবিবার পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন শিয়ালদা শাখার মুখ্য বিভাগীয় আধিকারিক এসপি সিং। তিনি জানান, করোনা বিধিনিষেধ চলাকালীন রেলকর্মীদের জন্য যে বিশেষ ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছিল তাতে এখন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য জরুরি পরষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বহু ট্রেনে দূরত্ববিধি মানা যাচ্ছে না। এর ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সত্যি তেমন হলে তার দায় বর্তাবে রেলের ওপর।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসে বিধিনিষেধ চালুর আগে পর্যন্ত ৮৮২টি লোকাল ট্রেন চলত শিয়ালদা শাখায়। সেখানে এখন ১৮০টি বিশেষ ট্রেন চলছে। যাতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ভিড়ই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বরং লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলে তাতে দূরত্ববিধি মেনে চলার চেষ্টা করা যাবে।
এছড়া বড় হয়ে উঠেছে রেলের আর্থিক ক্ষতির দিকটিও। লোকাল ট্রেন না চললেও মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের সমস্ত কাজই করতে হচ্ছে রেলকে। বেতন দিতে হচ্ছে কর্মীদের। ফলে মোটা টাকা লোকসান হচ্ছে রেলের। তাই করোনা সুরক্ষাবিধি মেনেই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগোতে চায় পূর্বরেল। অপেক্ষা শুধু রাজ্যের সবুজ সিগন্যালের।