দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে বাংলায় একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব জনসংযোগে নামেন। বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমেও চলে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। এটা কার্যত বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এবার দুর্গাপুজোকে পুরোমাত্রায় জনসংযোগের কাজে ব্যবহার করছেন বাম নেতৃত্ব। আর সেই নিরিখে বামেদের ধারেকাছে নেই গেরুয়া ব্রিগেড।
এবারও বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে বামেদের বুক স্টল। সেখানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বামেদের ইয়ং ব্রিগেডকে দেখা যাচ্ছে। কমবয়সী বাম মনোভাবাপন্নরা জড়ো হচ্ছেন এই বুক স্টলে। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সিপিএম মিলিয়ে প্রায় হাজার দশেক স্টল হয়েছে বাংলা জুড়ে। সূত্রের খবর, পুজো মিটলেই আন্দোলন ও কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বামেরা। মূলত সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সংগঠনকে জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেটাকে সামনে এনে আন্দোলনে শান দিতে চাইছেন বামেরা।
বাড়ি বাড়ি জনসংযোগের উদ্যোগও নেওয়া হবে। সেখানে নতুন মুখও আনা হবে বলে খবর। এদিকে কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সমাবেশ ও ধর্মতলায় যুব সমাজের ভিড় বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে বামেদের। আর সেই উৎসাহকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপাতে চাইছেন বামেরা।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন কেন শারদ উৎসবের জনসংযোগের নিরিখে কার্যত খুঁজে পাওয়া গেল না গেরুয়া ব্রিগেডকে? তবে এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বইয়ের স্টল তো দূরের কথা, পুজোর ভিড়ে বিজেপি নেতাদের কার্যত খুঁজেই পাওয়া গেল না। অন্যদিকে আগের মতো দাপিয়ে না হলেও বামেরা স্টল দিয়ে জানান দিলেন , পুরোমাত্রায় আছেন তাঁরা। এমনকী রাসবিহারীতে এই স্টলের হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের সামনে এলেন বাম নেতৃত্ব।
বাংলার মুখ খবর