বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta Medical College and Hospital: নিজের শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছিলেন তরুণ, কলকাতার মেডিক্যালে বাঁচল প্রাণ

Calcutta Medical College and Hospital: নিজের শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছিলেন তরুণ, কলকাতার মেডিক্যালে বাঁচল প্রাণ

কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি

কখনও গলায়, কখনও পেটে আবার কখনও হাতের মাধ্যমে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছিলেন ওই তরুণ। প্রথমের দিকে সমস্যা না হলেও পারদ প্রবেশের কিছুদিন পর তরুণের হাত, গলা এবং তলপেট ফুলতে শুরু করে। তাঁর শরীর ক্লান্ত হতে শুরু করে এবং ঘন ঘন জ্বর আসে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চণ্ডীগড় পৌঁছে যান ওই তরুণের পরিবার।

আজব কাণ্ড! ইন্টারনেট ঘেঁটে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে নিজের শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে পারদ প্রবেশ করালেন ইঞ্জিনিয়ারের এক পড়ুয়া। যার জেরে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ১৯-এর ওই তরুণ। শেষ পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় নতুন জীবন ফিরে পেলেন ওই তরুণ। পড়ুয়ার এমন কাণ্ডে হতবাক পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক সকলেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাটের বাসিন্দা ওই যুবক চণ্ডীগড়ে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। মাসখানেক আগে তাঁর মাথায় পারদ নিয়ে উদ্ভট চিন্তাভাবনা আসে। পারদ কী আদৌ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক? এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ইন্টারনেটে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়া শুরু করেন ওই তরুণ। কিন্তু সত্যি সত্যি পারদ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক কিনা তা জানতে উদ্ভট চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে ওই তরুণের। শেষে ইঞ্জেকশনের সাহায্যে থার্মোমিটারের পারদ নিজের শরীরে একটু একটু করে প্রবেশ করাতে শুরু করেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

কখনও গলায়, কখনও পেটে আবার কখনও হাতের মাধ্যমে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছিলেন ওই তরুণ। প্রথমের দিকে সমস্যা না হলেও পারদ প্রবেশের কিছুদিন পর তরুণের হাত, গলা এবং তলপেট ফুলতে শুরু করে। তাঁর শরীর ক্লান্ত হতে শুরু করে এবং ঘন ঘন জ্বর আসে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চণ্ডীগড় পৌঁছে যান ওই তরুণের পরিবার। কিন্তু কী কারণে এমনটা হচ্ছে তা পরিবারের সদস্যদের কাউকেই প্রথমে কিছু জানাননি। শেষে চিকিৎসার জন্য ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

প্রথমে তাঁকে নদিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রফি করার পর পারদ জাতীয় পদার্থ দেখা যায়। পরে ওই যুবক স্বীকার করে নেয় যে সে নিজেই শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন। এরপর ক্রমে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ইএনটি বিভাগে পাঠানো হয়। দেখা যায় তাঁর গলায় পারদ আটকে রয়েছে। তখন চিকিৎসকরা গলায় অস্ত্রোপচার করে পারদ বের করেন। ৪৫ মিনিট ধরে চলে অস্ত্রোপচার। ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক অ‌্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. দীপ্তাংশু মুখোপাধ‌্যায় জানিয়েছেন, থায়রয়েড গ্ল‌্যান্ডের পারদ জমে ছিল। সময় মতো পারদ বের না করলে বড় বিপদ ঘটতে পারত। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আগামী কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন