সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন (WBCSC)। আর কলেজ সার্ভিস কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা।
চাকরি প্রার্থীদের প্রশ্নগুলি হল-
১) ২০২০ সালের বিজ্ঞাপন (Advt. No- 1/2020) বলে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে কত শূন্যপদ আছে ও কত লোক নিয়োগ হবে? কোন বিষয়ে, কোন ক্যাটাগরিতে কতো শূন্যপদ আছে? এগুলি বলা হয়নি।
২) নিয়োগের আবেদন করতে গেলে জেনারেল প্রার্থীদের আবেদন ফি ২,০০০ টাকা। এবং অন্যান্যদের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা। অধিকাংশ জন কোথায় পাবে এতো টাকা?
৩) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের নম্বর কত থাকবে বা একাডেমিক স্কোর বা রিসার্চের জন্য কত নম্বর রাখা হবে, তা স্পষ্ট নয় কেন?
৪) ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মেধা তালিকার বৈধতা শেষের আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কিভাবে সম্ভব?
৫) ২০১৮ সালের কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইন্টারভিউতে ৪০ নম্বরের মাধ্যমে ‘অজানা কারণে’, প্রকৃত মেধাবীদের পিছনে ঠেলে দেওয়ার কৌশল গতবার নেওয়া হয়। কয়েকটি বিষয় বিশেষ করে গণিতে ব্যাপক স্বজন পোষণের অভিযোগ ওঠে। এবারও কি ইন্টারভিউয়ে ৪০ নম্বর রাখা হবে?
চাকরি প্রার্থীরা যে দাবিগুলি তুলেছেন সেগুলি হলো-
১) ২০১৮ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় এখনও নিয়োগ না পাওয়া মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের (প্রায় ৪০০ জন) দ্রুত নিয়োগ করতে হবে।
২) CBCS নিয়ম মেনে সমস্ত শূন্যপদের (প্রায় ৩০,০০০) অনুমোদন দিয়ে ওই পদে যোগ্য দের স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে।
৩) বিজ্ঞপ্তি দিয়ে CBCS-এর নিয়মের সকল শূন্যপদের অনুমোদন দিক সরকার। নইলে সামান্য কিছু পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ এর প্রকৃত মেধাবীদের, ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় মেধা তালিকাভুক্তদের মতোই পরিস্থিতি হবে।
৪) নতুন বিজ্ঞপ্তিতে EWS কোটার কথা উল্লেখ করা হয়নি।কলেজে চাকরির ক্ষেত্রে অবিলম্বে EWS কোটার সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হোক।
৫) অবিলম্বে কত শূন্যপদ আছে ও কত লোক নিয়োগ হবে? কোন বিষয়ে, কোন ক্যাটাগরিতে কতো শূন্যপদ আছে, তা প্রকাশ করা হোক।
৬) ইন্টারভিউয়ের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হোক। না হলে গতবারের ন্যায় ৪০ নম্বর রাখলে প্রকৃত মেধাবীরা দুর্নীতির স্বীকার হবেন। অবিলম্বে স্কোর প্যাটার্ন প্রকাশ করা হোক।
৭) ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ কমিশনের পরীক্ষায় (Advt. No- 1/2018) মেধা তালিকাভুক্ত ও যোগ্য প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করা হোক।
৮) দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপকদের ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে দূরে রাখতে হবে। যে সমস্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গত বার অভিযোগ এসেছিল, তাঁদের কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।