রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে নির্দেশিকায় এমনই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘(কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান) ছাড়া রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ-সহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্লাস শুরু হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।’
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই অবশ্য জানানো হয়েছে, আগামী থেকে রাজ্যের রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে। মঙ্গলবার বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ক্লাস শুরু হবে।’
আর কী কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায় :
১) মহামারীর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং উপাচার্য।
২) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উপসর্গযুক্ত পড়ুয়াদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাঁরা হস্টেলে কারোর সঙ্গে একই ঘরে থাকতে পারবেন না।
৩) বাধ্যতামূলকভাবে সামাজিক দূরত্ব পালন, মাস্কের ব্যবহার করতে হবে। যাবতীয় করোনা-বিধি মেনে চলতে হবে। ধাপে ধাপে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। বলা হয়েছে, ‘কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে হলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ খোলা থাকবে। একইসঙ্গে যে পড়ুয়া ও কর্মীরা কনটেনমেন্ট জোনে থাকেন, তাঁদের কলেজে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না।’ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং কর্মীদের ‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ’ ডাউনলোড করতে উৎসাহ দিতে হবে।
৪) গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কোর্সের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়ারা আসতে পারেন। কারণ সেরকম পড়ুয়াদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সহজেই সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন করা যাবে এবং সুরক্ষা বিধি পালন করা যাবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষাগত এবং চাকরি সংক্রান্ত কারণের জন্য চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদেরও অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।’
৫) আন্তর্জাতিক যাতায়াতে বিধিনিষেধ বা ভিসা-সংক্রান্ত কারণে যে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কোর্সে যোগ দিতে পারবেন না, তাঁদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে উপযুক্ত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
৬) হস্টেলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে. ‘যেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়, সেক্ষেত্রেই শুধু হস্টেল খোলা যাবে। কঠোরভাবে মানতে হবে সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধি। তবে একই রুমে অনেকে থাকা নাও যেতে পারে। কোনও পরিস্থিতিতে উপসর্গযুক্ত পড়ুয়াদের হস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না।’