অভীক দাস। এবার রাজ্য়ের মধ্য়ে উচ্চমাধ্যমিকে সবার সেরা সে। একেবারে ফার্স্ট হয়েছে অভীক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। মানে শতাংশের হিসাবে সে ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে এই যে মেধাতালিকায় যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা স্থান পায় তারা কীভাবে পড়াশোনা করেন?
সেই রহস্যটাই জানিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিকের ফার্স্ট বয় অভীক দাস। কীভাবে পড়াশোনা করত সেটা জানিয়ে দিয়েছে অভীক। সেক্ষেত্রে এবার যারা উচ্চমাধ্যমিক দেবে তাদের কাছে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে অভীকের এই টিপস। কারণ দিনের পর দিন ধরে বই মুখে নিয়ে বসে থাকল সন্তান। কিন্তু পরীক্ষার ফল বের হলে দেখা গেল রেজাল্ট কিছুতেই ভালো হচ্ছে না।
অভীক সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছে. নম্বরের পেছেন আমি ছুটিনি। শুধু নম্বরের পেছনে ছুটলে হবে না। শুধু মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে কিছু হবে না। মুখস্থ বিদ্যা নয়, বুঝে পড়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। যে বিষয়টা পড়তে হবে সেটা বুঝে বুঝে পড়তে হবে। শুধু পাঠ্যবইয়ের উপর নির্ভর করলে চলবে না। টেক্সট বই শুধু নয়, মকটেস্ট দিয়েছি। তার জন্যই সম্ভব হয়েছে। মা বাবা সবসময় সহায়তা করেছে। তাদের অবদান আমার কাছে সকলের আগে।
বিশ্বব্রহ্মান্ড নিয়ে জানার খুব ইচ্ছা। অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায় অভীক। অভীক জানিয়েছে একেবারে ঘড়ি ধরে পড়েছি এমনটা নয়। যখন মন চেয়েছে তখন পড়েছি। সারাদিন ধরে পড়াশোনা করেছি এমনটাও হয়েছে। পড়াশোনা করাটাই আমার হ্যাবিট। ৬টি বিষয়ে ৬ জন গৃহশিক্ষক ছিল অভীকের। মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল অভীক।আর উচ্চমাধ্যমিকে একেবারে প্রথম হল অভীক।
অভীকের এই সাফল্যে খুশি তার বাবা মা, পাড়া প্রতিবেশীরা। অভীকের সাফল্যে খুশি তার স্কুল। কলকাতা থেকে অনেক দূরে তাদের বাড়়ি। সেখানে হাতের মুঠো ধরা পড়ল সাফল্য।
তার বাবা মাও জানিয়েছে, সারাদিন পড়াশোনা করত অভীক। পড়াশোনায় কোনওদিন ফাঁকি দিত না অভীক। স্কুলের শিক্ষকরাও সবসময় সহায়তা করতেন। সেই সঙ্গেই গৃহশিক্ষকরা যে সমস্ত টাস্ক দিয়ে যেতেন, যেভাবে পড়তে বলতেন তা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে পালন করত অভীক। তার ফলও সে পেয়েছে হাতেনাতে।
তবে শুধু টানা পড়ে গেলেই যে সাফল্য আসবে তেমনটা নয়। এমনটাই জানিয়েছে অভীক। কেবলমাত্র মুখস্থ করলে হবে না। বুঝে বুঝে পড়তে হবে। তারপরই সাফল্য আসবে।