মোটে ৩৫টি ওয়ান ডে ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে এতদিন অধরা ছিল আন্তর্জাতিক টি-২০ শতরান। অবশেষে দেশের জার্সিতে ৪৪তম টি-২০ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে সেই খামতিও পুষিয়ে নিলেন আফগানিস্তানের তারকা ওপেনার। শুক্রবার শারজায় আমিরশাহির বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন কেকেআরের হয়ে আইপিএল খেলা গুরবাজ।
শারজায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। হজরতউল্লাহ জাজাই মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শুরু থেকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রহমানউল্লাহ। ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষমেশ ৭টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে টপকে যান ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি।
আফগানিস্তানের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে শতরান করার নজির গড়েন রহমানউল্লাহ। তাঁর আগে হজরতউল্লাহ জাজাই ও মহম্মদ শেহজাদ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। জাজাই ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। শেহজাদ ২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে করেন অপরাজিত ১১৮ রানে।
রহমানউল্লাহ এদিন আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৫২ বলে ১০০ রান করে আউট হন। আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০৩ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। রহমানউল্লাহর শতরান ছাড়া দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইব্রাহিম জাদরান। আফগান দলনায়ক ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৯ রান করে মাঠ ছাড়েন।
এছাড়া ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১৯ রান করে নট-আউট থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ নবি। আমিরশাহির হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ জাওয়াদউল্লাহ, জুনাইদ সিদ্দিকি ও আয়ান আফজল খান।
আরও পড়ুন:- ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত IPL খেলে যাওয়া নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানে
পালটা ব্যাট করতে নেমে আমিরশাহি ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৩১ রানে আটকে যায়। ৭২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় আফগানিস্তান। আমিরশাহির হয়ে ব্যাট হাতে কার্যত একা লড়াই চালান ভৃত্য অরবিন্দ। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তানিশ সুরি ২০ ও বাসিল হামিদ ১৮ রানের যোগদান রাখেন।
১৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি। ১টি করে উইকেট নেন নবীন উল হক ও কাইস আহমেদ। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।