একদিকে চেতেশ্বর পূজারা চলতি রঞ্জি ট্রফিতে রান করেই চলেছেন। অন্যদিকে রঞ্জি মরশুমে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হচ্ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। বিস্তর রান করেও পূজারা ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় টেস্ট দলে উপেক্ষিত থাকেন। সেদিক থেকে অফ ফর্মে থাকা রাহানের কামব্যাকের রাস্তা যা নিতান্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
অবশেষে চলতি রঞ্জি মরশুমে নিজের সুনামের প্রতি সুবিচার করলেন রাহানে। এবারের রঞ্জি ট্রফিতে প্রথমবার বড় রানের ইনিংস খেলেন মুম্বই দলনায়ক। চতুর্থ ম্যাচের সপ্তম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথমবার হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকান রাহানে।
ঘরের মাঠে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১টি ইনিংসে ব্যাট করে রাহানে শূন্য রানে আউট হন। কেরলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শূন্য ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রান করেন অজিঙ্কা। ওয়াংখেড়েতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। এবার ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন অজিঙ্কা।
অর্থাৎ, ৬টি ইনিংসে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ দাঁড়ায় সাকুল্যে ৩৪ রান। অবশেষে সাত নম্বর ইনিংসে অর্থাৎ, ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৪ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রায়পুরে মুম্বই বনাম ছত্তিশগড় রঞ্জির এলিট-বি গ্রুপের ম্যাচটি ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রানের লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট ঘরে তোলে মুম্বই। ছত্তিশগড় সন্তুষ্ট থাকে ১ পয়েন্ট নিয়ে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান তোলে। পৃথ্বী শ ১৫৯ ও ভূপেন লালওয়ানি ১০২ রান করেন। ছত্তিশগড়ের আশিস চৌহান প্রথম ইনিংসে ৬টি উইকেট দখল করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে ছত্তিশগড়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৪৩ রান করেন আমনদীপ খারে। ৫টি উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে। উইকেট পাননি শার্দুল ঠাকুর।
দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ৬ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দিলে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। রাহানের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের হয়ে ৫৯ রান করেন ভূপেন লালওয়ানি। পৃথ্বী শ ৪৫ ও শার্দুল ঠাকুর ৩১ রানের যোগদান রাখেন। ছত্তিশগড়ের অজয় মণ্ডল দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন আমনদীপ।