চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন সচিন পুত্র। পর্ভরিমের গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গোয়া ও চণ্ডীগড়। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন সুয়াশ প্রভুদেশাই।
গোয়া প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে তোলে। শতরান করেন দীপরাজ গাঁওকর। হাফ-সেঞ্চুরি করেন কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ। হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন ইশান গাড়েকর, রাহুল ত্রিপাঠী ও ক্যাপ্টেন দর্শন মিশাল।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গোয়া প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৬৭ রান তোলে। ১২৪ রানে নট-আউট ছিলেন সুয়াশ। রাহুল ত্রিপাঠী নট-আউট ছিলেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে গোয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট ছেড়ে দেয় ৭ উইকেটে ৬১৮ রান তুলে।
প্রভুদেশাই ১৯৭ রানে আউট হয়ে বসেন। অর্থাৎ, মাত্র ৩ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি। ৩৬৪ বলের ইনিংসে সুয়াশ ১৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। রাহুল ত্রিপাঠী ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ বলে ৪০ রান করে মাঠ ছাড়েন। দর্শন ৬টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ৭৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হন।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দীপরাজ গাঁওকর ১০১ বলে ১১৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অর্জুন তেন্ডুলকর ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ৬০ বলের ঝোড়ো ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। মোহিত রেডকর ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ১৪ রান করে নট-আউট থাকেন।
তার আগে প্রথম দিনে ওপেনার ইশান ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮০ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ করেন ৭৭ রান। ১৫৯ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার মারেন। ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্নেহাল।
চণ্ডীগড় প্রথম ইনিংসে ৯ জন বোলারকে ব্যবহার করে। ২টি উইকেট নেন জগজিৎ সিং। ১টি করে উইকেট নেন রাজ বাওয়া, অর্পিত পান্নু, আর্সলান খান ও কুণাল মহাজন। উইকেট পাননি সন্দীপ শর্মা, মুরুগান অশ্বিন, গৌরব পুরি ও হরনূর সিং। চণ্ডীগড় পালটা ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৩ রান তোলে।