১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজের (AUS vs PAK) জন্য পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে। শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট বোলার হ্যারিস রউফ খেলতে রাজি না হওয়ায় এই সফরে যাননি। এখন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলিং নেতা শাহিন শাহ আফ্রিদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, যিনি তার সহবোলারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন যে রউফ যে ফর্ম্যাটে খেলতে চান তা বেছে নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে। আফ্রিদি আরও বলেন, রউফের অনুপস্থিতি খুব একটা উদ্বেগের বিষয় হবে না।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে পাকিস্তান দল। তবে এই সিরিজে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার হ্যারিস রউফকে পাওয়া যাবে না। আসলে হ্যারিস রউফ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যারিস রউফের টেস্টে না খেলার বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। শাহিন আফ্রিদি বলেন, হারিস রউফ না খেলা আমাদের জন্য বড় বিষয় নয়।
হ্যারিস রউফ পাকিস্তানের হয়ে একটানা সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছেন কিন্তু টেস্ট ফর্ম্যাটে তার নামে মাত্র একটি ম্যাচ আছে। যেটি তিনি গত বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। মাঝখানে চোট পাওয়ায় ওই ম্যাচে তিনি মাত্র একটি ইনিংস বল করতে পেরেছিলেন। পাকিস্তান টেস্ট দলের সঙ্গে অনুশীলন শেষে ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হ্যারিস রউফ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘হ্যারিস রউফ শেষ টেস্ট সিরিজেও ছিলেন না। সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তান ক্রিকেটের শক্তি হ্যারিস। সাদা বলের ক্রিকেটে প্রধান বোলারই থাকবেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে তার প্রভাব অপরিসীম। আমি মনে করি এটা তার মতামত (অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ না খেলা)। আমি মনে করি প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব মতামত থাকা উচিত। এটি ব্যক্তির অধিকারের বিষয়। আমার মনে হয় সফরের আগে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার মতে তিনি মনে করেন লাল বলের ক্রিকেটে তার খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’
উল্লেখ্য, হ্যারিস রউফের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধান নির্বাচক ওহাব রিয়াজ এবং ক্রিকেট পরিচালক মহম্মদ হাফিজও। এদিকে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়া বিমানবন্দরে লাগেজ তোলা নিয়ে মুখ খুলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে হবে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। বিমানবন্দরে মাত্র দুজন কর্মচারী থাকায় আমরা তাদের সাহায্য করেছি। এইভাবে আমরা সময় বাঁচিয়েছি। তাই আমরা তাঁকে পরিবার হিসেবে সাহায্য করেছি। ক্যানবেরায় খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের খুব বেশি নেই। তবে আমি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে চারদিনের ম্যাচটি ঘরোয়া দলের বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে।’