শুভব্রত মুখার্জি: রঞ্জি খেলার জন্য বিসিসিআইয়ের নির্দেশ সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন দুই ক্রিকেটার ইশান কিষান এবং শ্রেয়স আইয়ার। বিসিসিআইয়ের কড়া নির্দেশ সত্ত্বেও তারা রঞ্জি খেলেননি। ইশান কিষান মানসিক ক্লান্তির কথা বলে ঝাড়খন্ডের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি। অপর দিকে পিঠে ব্যথার অজুহাত দেখিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে নিজের দল মুম্বইয়ের হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে খেলতে নামেননি শ্রেয়স আইয়ার। এর পর স্বাভাবিক কারণেই ভারতীয় বোর্ডের বিরাগভাজন হয়েছেন দুই তারকা।
বিসিসিআই সদ্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করেছে, যে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই দুই ক্রিকেটারকে। যদিও এর পিছনে অফিসিয়াল কোন কারণ দেখানো হয়নি বিসিসিআইয়ের তরফে। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রঞ্জিতে না খেলার পরেও কলকাতা নাইট রাইডার্স অর্থাৎ কেকেআরের অ্যাকাডেমিতে সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। আর তাতেই নাকি রেগে আগুন হয়ে গিয়েছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকার।
ঘটনাচক্রে এই কেকেআর দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে রঞ্জিতে না খেললেও, কেকেআর অ্যাকাডেমিতে উপস্থিত হয়ে সেখানে ক্রিকেটীয় কার্যকলাপে যুক্ত থাকাতেই রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়েছেন অজিত আগরকার। সে কথা তিনি জনসমক্ষে না বললেও, এর পরেই নাকি তিনি আইয়ারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ৩০ জন ক্রিকেটারের জায়গা হলেও, জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ার এবং ইশান কিষানের। রেভস্পোর্টসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে মুম্বই দলের হয়ে না খেলে, কেকেআরের অ্যাকাডেমিতে শ্রেয়সের যোগদানের খবরটি জানতে পারেন অজিত আগরকার। ঘটনায় তিনি বিরক্ত হন।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই ২২ গজে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন পন্ত, দিনক্ষণ বলে দিলেন সৌরভ
তবে এর পরেই সম্ভবত নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন শ্রেয়স। তিনি মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতে সেমিফাইনালে খেলছেন। বিকেসি গ্রাউন্ডে তিনি তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নেমেছেন। উল্লেখ্য, গত ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শ্রেয়সের। তিনি ১১ ম্যাচে করেছিলেন ৫৩০ রান। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি দুরন্ত শতরানও করেছিলেন। পিঠের চোট তাঁকে শেষ কয়েক মাস ধরে ভোগাচ্ছে। তিনি গত ওডিআই বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। তাঁর পিঠের অস্ত্রোপচার হওয়ার পরে। তবে চলতি ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে তিনি একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। চার ইনিংসে তিনি করেছেন যথাক্রমে ৩৫, ১৩, ২৭ এবং ২৯ রান। এর পরেই সিরিজের পরবর্তী তিন টেস্ট ম্যাচের ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।