শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়া কাপে বিশেষ করে সুপার ফোর পর্যায়ে বারবার বাধ সেধেছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল বরাবর। আর তা সত্যি করেই রবিবার ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়।ফলে বাধ্য হয়েই খেলা নিয়ে যেতে হয় রিজার্ভ ডে'তে। রবিবারেও কলম্বোর মাঠকর্মীদের অভিনব উদ্যোগের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট বিশ্ব। শত প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেও মাঠ শুকোনোর অদম্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন মাঠকর্মীরা।
ঠেলা গাড়িতে করে তিনটি ইলেকট্রিক পাখা বেঁধে এনে তাতে ইলেকট্রিক সংযোগ করে তা চালিয়ে মাঠের আউটফিল্ড শুকোতে মরিয়া লড়াই করেছিলেন তারা। এবার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ রিজার্ভ ডে 'তে ও দেখা গেল মাঠকর্মীদের আরও একটি অভিনব উদ্যোগ। যেখানে বেশি পাওয়ারের হ্যালোজেন আলো ব্যবহার করে ২২ গজকে শুকোলেন তারা।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
গতকাল পাখা চালিয়ে আউটফিল্ড শুকোনোর লড়াই করে ও ব্যর্থ হন মাঠকর্মীরা। তবে রিজার্ভ ডে'তে দেখা গেল কিন্তু তার উলটপুরাণ। এদিনও বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয় খেলা। বৃষ্টির থামার পরেই ম্যাচ চালু করতে উঠে পড়ে লাগেন মাঠ কর্মীরা। গতকালের মতন ২২ গজে আনা হয় একটি ঠেলা গাড়ি। যাতে এদিন পাখার বদলে বাঁধা ছিল হ্যালোজেন আলো। সেই বেশি পাওয়ারের আলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে চলতে থাকে পিচ শুকনো করার কাজ। তবে শুধু হ্যালোজেন আলো নয়। এদিন আলোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় পাখাও। আলো এবং পাখার যুগলবন্দিতে অসাধ্য সাধন করে ফেলেন মাঠকর্মীরা। পিচের আদ্র জায়গা তারা শুকিয়ে ফেলতে সমর্থ হন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও ম্যাচের আগে দেখা যায় ২২ গজে হাত দিয়ে পরীক্ষা করতে। আর মাঠকর্মীদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই রিজার্ভ ডে 'তে বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে ও ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হয়।
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
প্রসঙ্গত, রবিবার ভারতের তারকা অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মাঠকর্মীদের এই অনবদ্য উদ্যোগকে টুইটারে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন। টুইটারে অনেক সমর্থক একটা কথাই বলেছেন পরপর দুইদিন মাঠকর্মীদের অনন্য উদ্যোগ মন কেড়ে নিয়েছে তাদের। অনেকেই বলেছেন যে শ্রীলঙ্কাতে মাঠকর্মীরা প্রতিদিন নয়া নয়া আবিষ্কার সবার সামনে তুলে ধরছেন। উল্লেখ্য কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত বড় বড় ভেন্যুতে বৃষ্টি হলে মাঠের আউটফিল্ড শুকোতে রয়েছে সুপার সপারের মতন যন্ত্র। তবে তেমন কোন কিছুর সুবিধাই পাননি কলম্বোর মাঠকর্মীরা। তারপরেও এদিন সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলানো সম্ভব হয়। যেখানে বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলের অপরাজিত শতরানে ভর করে ভারতীয় দল ৩৫৬ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। জবাবে ২২৮ রানের ব্যবধানে বিরাট বড় এক জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল।
আর এই ম্যাচের পরই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি সহ আরও অনেক ক্রিকেটার কলম্বোর মাঠ কর্মীদের প্রশংসা করেছেন। কারণ ম্যাচে বারংবার বৃষ্টি ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। আর মাঠ কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে খেলার উপযোগী করে তুলেছেন। সেই কারণেই প্রশংসা করেছেন অনেকে।
(এশিয়া কাপের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/cricket/asia-cup)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড বিস্তারিত ক্রীড়াসূচি - এর জন্য চোখুন HT Bangla - তে