চলতি মরশুমে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ সিপিএলে শুরু হয়েছে ফুটবলের মতন লাল কার্ড দেখানো। স্লো ওভার রেটের কারণে এই লাল কার্ড দেখানো হয় কোন দলকে। ফলে যে দল এই লাল কার্ড দেখবে তাদের ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা লাগু হয়। আর দুর্ভাগ্যবশভ চলতি সিপিএলের প্রথম লাল কার্ডটি দেখতে হয়েছে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে। আর তাতেই চটেছেন দলনায়ক তথা প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড।কড়া ভাষায় তিনি তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। তাঁর সরাসরি বক্তব্য 'আমরা অনেকটা দাবার বোড়ের মতন'। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তকেও একেবারে নির্বোধের মতন সিদ্ধান্ত বলে নিজের রাগ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে চলতি সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের বিরুদ্ধে নাইটদের ম্যাচে। নাইটদের খারাপ ওভার রেটের কারণে তাদেরকে এই লাল কার্ড দেখানো হয়। ফলে মাত্র ১০ জনে খেলতে বাধ্য হয় নাইট রাইডার্স। পাশাপাশি ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ও মাত্র ২ জন ফিল্ডার রাখতে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়। এই বছরেই চালু হয়েছে এই লাল কার্ডের তত্ত্ব। কারণ একটাই যাতে করে ওভার রেটকে বাড়ানো যায়। কারণে অকারণে ক্রিকেটারদের খেলার গতিকে মন্থর করার বিরুদ্ধে চালু হয়েছে এই লাল কার্ডের নিয়ম। প্রথম ক্ষেত্রে পোলার্ড বাধ্য হন একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে ১৮ তম ওভারে বৃত্তের মধ্যে রাখতে।
১৯ তম ওভারে আরো একজন ফিল্ডারকে বাউন্ডারি লাইন থেকে ভিতরে নিয়ে আসতে বাধ্য হন পোলার্ড। ফলে বাউন্ডারি লাইনে মাত্র তিনজন ফিল্ডার ছিল সেই সময়ে নাইটদের। তারপরেও ওভার রেটে পিছিয়ে ছিল নাইটরা। ফলে সুনীল নারিনকে মাঠের বাইরে যেতে হয়। ১০ জন ফিল্ডার নিয়ে খেলতে বাধ্য হয় নাইটরা। বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে কায়রন পোলার্ড জানিয়েছেন ' সত্যি বলছি এই ধরনের ঘটনা (লাল কার্ড) আমরা যত কঠিন পরিশ্রম না করে থাকি সবকিছুকে মাটি করে দেবে। আমরা অনেকটা বোড়ের মতন। আমাদেরকে যা বলা হবে আমরা সেটাই করতে বাধ্য। আমরা যতটা দ্রতগতিতে সম্ভব খেলার চেষ্টা করব। তারপরেও যদি ৩০-৪৫ সেকেন্ডের জন্য আমাদেরকে এইধরনের টু্র্নামেন্টে শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে সেটা অত্যন্ত নির্বোধের মতন কাজ। ' ডোয়েন ব্রাভোর সেই ওভারে ১৮ রান নেয় বিপক্ষ দল। জয়ের জন্য নাইটদের প্রয়োজন ছিল ১৭৯ রান।পোলার্ড,আন্দ্রে রাসেল এবং নিকোলাস পুরানের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৭ বল বাকি থাকতেই তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।